মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই বড় চ্যালেঞ্জ : রওশন এরশাদ

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, এবারের বাজেট একদিকে সম্প্রসারণমূলক, আরেকদিকে বিশাল ঘাটতির। চলতি অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়নের অবস্থা ভালো নয়। আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭.৫ শতাংশ। এই জিডিপি অর্জন কঠিন হবে। এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই বড় চ্যালেঞ্জ।
রোববার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় সভাপতিত্ব করেন।
রওশন বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশের অর্থনীতির গতি শ্লথ হয়েছে। রিজার্ভে টান পড়েছে। রপ্তানি আয় বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। তিনি জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবি জানিয়ে বলেন, এই খাতে দাম বাড়ানো হলে সব কিছুর দাম বাড়বে।
তিনি বলেন, এবারের বাজেট এমন এক সময় হয়েছে যখন নানামুখী চ্যালেঞ্জ ও সমস্যায় বিশ্ব অর্থনীতি। সারাবিশ্বে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে, যা গত ৪০ বছরেও দেখা যায়নি।
রওশন এরশাদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে উচ্চমাত্রার মূল্যস্ফীতি। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি গত একযুগে সর্বোচ্চ। মূল্যস্ফীতি ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের আশু হস্তক্ষেপ এখনই কামনা করছি। সব কিছুর উচ্চমূল্যে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। কর্মসংস্থানের পরিবর্তে কর্মহীনতার সংখ্যা বাড়ছে।
তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরের জন্য ৬টি প্রধান চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা; গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারে ভর্তুকির জন্য অর্থের সংস্থান করা; বৈদেশিক সহায়তার অর্থ ব্যবহার এবং সরকারের উচ্চ-অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা; শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন; ভ্যাট সংগ্রহের পরিমাণ এবং ব্যক্তি আয়করদাতার সংখ্যা বাড়ানো এবং টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখা।
এসআর/জেডএস