ঢাকায় কি ১৫ লাখ টাকার গরুর ক্রেতা নেই?

রাজধানীর আফতাব নগর পশুর হাটে ‘যুবরাজ’ নামে বিশালাকৃতির গরু নিয়ে এসেছেন চাঁদপুরের ফাহাদ ইসলাম আবির। তিন দিন ধরে এই হাটে গরুটি নিয়ে অবস্থান নিলেও কাঙ্ক্ষিত দামের ক্রেতা পাচ্ছেন না তিনি। যুবরাজের ১৫ লাখ টাকা দাম হাঁকালেও এর অর্ধেক দামও বলছেন না অধিকাংশ ক্রেতা। বাজারের এমন অবস্থায় আশাহত হয়ে গরুটির মালিক আবিরের প্রশ্ন, ঢাকায় কি ১৫ লাখ টাকার গরুর ক্রেতা নেই?
মঙ্গলবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টের সঙ্গে ফাহাদ ইসলাম আবিরের। তিনি গরুর দাম নিয়ে হতাশার কথা জানান।
আবির বলেন, এবার আমি বাজারে এসে হতাশ। আপনি একটা জিনিস বাজারে নিয়ে আসলে সেটার দাম যদি এক টাকা হয়, তাহলে যেকেউ দাম আট-আনা বলতেই পারেন। কিন্তু একের পর এক লোকজন এসে যদি সেটির দাম চার-আনা বলতে থাকে, তাহলে আপনি হতাশ না হয়ে পারবেন না। আমার ক্ষেত্রেও এ রকমই হচ্ছে। মানুষের কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে গরু হাওয়া খেয়ে বড় হয়ে গেছে। আর আমি এটাকে লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করে বড়লোক হয়ে যাচ্ছি। বিষয়টা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বাজারে এসে আমি হতাশ।

তিনি বলেন, আমি দাম চেয়েছি ১৫ লাখ, আমি বলছি না যে আমাকে ১৫ লাখই দিতে হবে। অধিকাংশ মানুষ আসে, দাম জিজ্ঞেস করেই চলে যায়। তার মানে এই শহরে কি বড় গরুর কোনো ক্রেতা নেই? তিন দিনে এখন পর্যন্ত তিন-চারজন এসে ৭ লাখ, সাড়ে ৭ লাখ টাকা দাম বলেছে। কিন্তু এসে দাম জিজ্ঞেস করে অন্তত প্রতিদিন ১০০ জন। এই হলো অবস্থা।
দাম কতো হলে ছাড়বেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখন পর্যন্ত ১৫ লাখ চাচ্ছি, ১২ হলে ছেড়ে দেব। আর তা-নাহলে আবার বাড়ি নিয়ে যাব। দরকার হয় আরো এক বছর এটাকে পালব, পরের ঈদে আবার নিয়ে আসব। ওজন এখন যা আছে, সামনের বছর আরও বেশি হবে।

এটা আমার লালন-পালন করা গরু, আমি নিজে এটার দেখভাল করেছি। এটাকে আমি কোনো ধরনের ইনজেকশন বা ট্যাবলেট খাওয়াইনি। সাড়ে ৩ বছর লেগেছে গরুটি তৈরি করতে। আমার ঘরের বাছুর এটি।
টিআই/এসকেডি