তেল ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণ: পুলিশ সদস্যসহ দগ্ধরা বার্ন ইনস্টিটিউটে

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে পুলিশ সদস্যসহ দুইজন দগ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ভোর রাতের দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। দগ্ধরা হলেন- ঝালকাঠি পুলিশ লাইন্সে কর্মরত কনস্টেবল শওকত জামিল (২৬) ও জাহাজের শ্রমিক শরিফ খান (৩৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. মো. তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ভোর রাতের দিকে দগ্ধ পুলিশ সদস্যসহ ২ জনকে আনা হয়। তাদের মধ্যে পুলিশ সদস্য শওকত জামিলের ৬ শতাংশ ইনহ্যালেশন বার্ন রয়েছে এবং শরীফ খানের ৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদেরকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উদ্ধার করে নিয়ে আসা কনস্টেবল রাইসুল ইসলাম বলেন, তেলবাহী সাগর নন্দিনী-২ জাহাজে ১৫ লাখ লিটার তেল ছিল। শনিবার হঠাৎ ভাসমান অবস্থায় বিস্ফোরণে জাহাজে আগুন লেগে যায়। তবে তেলের কোনো ক্ষতি না হলেও চারজন দগ্ধ হয়েছিল। এর মধ্যে রোববার জাহাজ থেকে ৬ লাখ ৭৫ হাজার লিটার তেল অপসারণ করা হয়। সোমবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত সাগর নন্দিনী-২ থেকে ৪ লাখ ৫ হাজার লিটার পেট্রোল অপসারণের কাজ করছিলো সাগর নন্দিনী-৪ নামের আরেকটি জাহাজ। এ সময় আবারো বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে জাহাজটিতে আগুন লেগে যায়। এতে আমাদের জেলা পুলিশের এক সদস্যসহ জাহাজের আরেক শ্রমিক দগ্ধ হয়।
পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ভোররাতের দিকে তাদের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
উল্লেখ্য, শনিবার (১ জুলাই) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে সুগন্ধা নদীতে ভাসমান অবস্থায় তেলবাহী জাহাজ "সাগর নন্দিনী-২" তে বিস্ফোরণে আগুন লেগে যায়। এতে চারজন দগ্ধ হলে তাদেরকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়। তারা হলেন- মাইনুল ইসলাম হৃদয় (২৮), শাকিল আহমেদ (২৩), ইকবাল (২৭), এবং ফরিদুল আলম পাটোয়ারী (৬০)।