ইসিতে বিএনএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ

নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেতে যাওয়া দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। দলটির ২০টি উপজেলার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি দাবি করে আইনজীবী আবু নাসের খান জনস্বার্থে অভিযোগ জমা দেন।
রোববার (২৩ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বরাবর লিখিত এ অভিযোগ জমা দেন। এর আগে নিবন্ধন পেতে যাওয়া আরেক দল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পারিবারিক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ জমা দেন তার আপন ছোট ভাই।
ইসির নিবন্ধন পেতে ৯৩টি রাজনৈতিক দল আবেদন করলেও তিন দফা ছাঁকুনি শেষে গত ১১ এপ্রিল প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে যাওয়া ১২টি দলের তালিকা প্রকাশ করেছিল আউয়াল কমিশন। এর পর গত সপ্তাহে রোববার ১ ডজন দল থেকে মাত্র ২টি দলের নাম প্রকাশ করে আউয়াল কমিশন। আগামী ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে কারও দাবি আপত্তি থাকলে তা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সাংবিধানিক এ সংস্থা। দাবি আপত্তি শেষে এ দুই দলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। তবে এর মধ্যেই দুটি দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে।
আবু নাসের খান তার লিখিত অভিযোগে জানান, মাঠ পর্যায়ের যাচাই-বাছাইতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) দলটির ৮০টি উপজেলার তথ্য সম্পূর্ণ ঠিক পাওয়া গেছে এবং ২০টি উপজেলা/থানার সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। সম্পূর্ণ সঠিক পাওয়া যায়নি এরকম উপজেলা ও থানা সমূহের ১০% অর্থাৎ মাত্র ২টি উপজেলা (রাজশাহী জেলার বাগমারা ও পুঠিয়া উপজেলা) পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ ১৮টি উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন 'বিএনএম' এর সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি তা যাচাই বাছাই না করেই কমিশন এই দলটিকে ‘সব শর্ত পূরণ করেছে’ মর্মে নিবন্ধনের জন্য বাছাই করেছে। কমিশনের নিজের দেওয়া তথ্য ও উপাত্ত অনুযায়ী এই স্ববিরোধী ও পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্তের জন্য পুরো প্রক্রিয়াটি প্রশ্নবিদ্ধ। আমি মনে করি এই ভুলের জন্য ভবিষ্যতে কমিশনকে মারাত্মক আইনি চ্যালেঞ্জ এমনকি বিচারের মুখোমুখি হওয়া লাগতে পারে। কমিশন যদি এরকম ত্রুটি এবং বিভ্রান্তিকর পন্থার একটি দলকে নিবন্ধন প্রদান করে তাহলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণে দায়ী হতে পারে, যা সংবিধান ও আইনের চরম লঙ্ঘন।
এই আইনজীবী লিখিত বক্তব্যে আরও জানান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন 'বিএনএম' সম্পর্কে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের অনুসন্ধানী রিপোর্টে প্রতীয়মান হয় দলটি একটি কার্যকর রাজনৈতিক দল নয় বরং একটি ভুঁইফোড় অকার্যকর রাজনৈতিক সংগঠন। যার ফলে দলটিকে নিবন্ধন না দেওয়ার দাবি তুলেন এই আইনজীবী।
২০০৮ সাল সেনাসমর্থিত শাসন আমলে শামসুল হুদা কমিশন নবম সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করে। বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪২টি। নতুন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধন দিলে দ্বাদশ ভোটের আগে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা আরও বাড়বে।
এসআর/এমএ