পানির উপাদান নষ্ট হলে মাছ উৎপাদনে ক্ষতি হবে

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, পানির নিজস্ব শরীর আছে, উপাদান আছে। সেই শরীর ও উপাদান নষ্ট হলে মাছ উৎপাদনেও ক্ষতি হবে। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই পানির উপাদান নষ্ট করা যাবে না। কেননা আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে মাছ রপ্তানি করা।
সোমবার (২৪ জুলাই) মৎস্য ভবনের সম্মেলনকক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রেজাউল করিম বলেন, মাছ উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের আপামর মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত একটি প্রযুক্তিনির্ভর, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ও উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মৎস্যখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, দেশে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪৭ দশমিক ৫৯ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। যা ২০২০-২১ অর্থবছরের চেয়ে
৫৫ শতাংশ বেশি। এ সময় মাছ উৎপাদিত হয়েছিল ৩০ দশমিক ৬২ লাখ টন। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় মাথাপিছু মাছ গ্রহণের হার ৬০ গ্রাম থেকে বেড়ে ৬৭ দশমিক ৮০ গ্রাম হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট ফিশারিজ গড়ে তোলা হবে। ২০৪১ সালে মৎস্য উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ লাখ টন। সমুদ্রে মাছ ধরা ট্রলার মনিটরিং করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০২২-পণ্য রপ্তানি করে ৪ হাজার ৭৯০ লাখ ৩০ হাজার টাকা আয় করা হয়েছে। মৎস্যতে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। ফিশারিক সেন্টারকে অনুসরণ করে বিশ্বের অনেক দেশ এগিয়ে গেছে। আমরা সে পথে।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মাছের বহুমুখী ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বিশেষ করে মাছের চিপস, মাছের তৈরি কেকসহ বিভিন্ন প্রকারের খাদ্যপণ্য তৈরি করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। এসব ল্যাবে মাছের খাবার নিরাপদ কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। আর যারা মাছের খাবারে ভেজাল মেশানোর কাজ করা হয় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ড. নাহিদ রশীদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুল হক, মৎস্য ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ, ডিপ সি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসার নম্বর, মৎস্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
এমএম/এমএ