বিরল-রাধিকাপুর স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালু করতে পদক্ষেপ নেবে ভারত

বন্ধ থাকা দিনাজপুরের বিরল-রাধিকাপুর ইমিগ্রেশন পুনরায় চালুর বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে আলোচনা করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ বিষয়ে হাইকমিশনার ব্যবস্থা নেবেন বলে জানানো হয়।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। সাক্ষাৎ শেষে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, অনেকগুলো স্থলবন্দরে আমাদের ইমিগ্রেশন চালু ছিল। কোভিডের সময় সেগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কয়েকটি চালু হয়েছে, কয়েকটি এখনো হয়নি। এগুলো যেন দ্রুত চালু করা হয় সে ব্যাপারে কথা হয়েছে।
‘স্পেশালি বিরল-রাধিকাপুর। এটা আমি বলেছি। কারণ এটা চালু ছিল। দীর্ঘদিন ধরে এনগেজম্যান্ট ছিল, যাত্রী যাতায়াত করে। বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে কয়েক হাজার কিলোমিটার তাদেরকে পাড়ি দিতে হচ্ছে। এগুলোর ব্যাপারে তিনি (হাইকমিশনার) পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন,’ বলেন প্রতিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ সালের ১৩ মার্চ করোনাকালীন এই ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গোমতী নদী খননে আগ্রহ দেখিয়েছে ভারত
প্রতিমন্ত্রী জানান, গোমতী নদী খনন করার ব্যাপারে অর্থায়নের জন্য তারা আগ্রহ দেখিয়েছে। এর বাইরেও আমাদের আশুগঞ্জের যে রাস্তাটা আছে, সেটা আমাদের বাংলাদেশের অর্থায়নে হচ্ছে। পোর্টটা ভারতীয় অর্থায়নে হচ্ছে। সেখানে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। সেগুলোর ব্যাপারে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে। যেন এগুলো আমরা দ্রুত করতে পারি।
তিনি জানান, আমাদের ক্রুজ সার্ভিসে অনেকের আগ্রহ আছে। বেশ কয়েকটি বেসরকারি অপারেটর আমাদের কাছে আবেদন করেছে। তারা চায় বাংলাদেশ থেকে কলকাতা পর্যন্ত প্যাসেঞ্জার অথবা ট্যুরিস্ট যায়। ভিসার ব্যাপারে আমরা বলেছি। তারা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কোভিডের সময় আমাদের যেসব ক্রু ভারত যেতো তারা জাহাজ থেকে নামতে পারতো না। এ বিষয়টি আমরা জানিয়েছি, যেন এটা রিলাক্স করে দেওয়া হয়।
এসএইচআর/জেডএস