বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে নেপথ্যের প্রধান কুশীলব জিয়া : মেয়র তাপস

জিয়াউর রহমান সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে নেপথ্যের প্রধান কুশীলব বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নগর ভবনে 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস' উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেয়র তাপস বলেন, জিয়াউর রহমানের সব কর্মকাণ্ডই ছিল প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির পক্ষে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। স্বাধীনতাবিরোধী। তিনি রাজাকার, আল বদর, আল শামসদের পুনর্বাসন করেছেন। তাদের গাড়িতে বাংলাদেশের রক্ত রঞ্জিত পতাকা উঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি হত্যাকারী, খুনিদেরকে পুনর্বাসন করেছেন। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে তাদেরকে পদোন্নতি দিয়েছেন, পদায়ন করেছেন, নিরাপত্তা দিয়েছেন। তিনি সংবিধান ভূলুণ্ঠিত করেছেন। সংবিধান কাটাছেঁড়া করেছেন। পঞ্চম সংশোধনী করে হত্যাকারীদের বিচারের আওতার বাইরে রেখেছেন। এভাবে তিনি আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত করেছেন। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন, হত্যা করেছেন। তার সব কর্মকাণ্ড ৪৮ বছর ধরে বিশ্লেষণ করলে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, খুনি জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের নেপথ্যের প্রধান কুশীলব। নেপথ্যের প্রধান ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারী।
তিনি আরও বলেন, খুনি জিয়া নিরপরাধ ও মুক্তিযোদ্ধা অনেক সেনা কর্মকর্তাকে মার্শাল ল’ এর মাধ্যমে হত্যা করলেও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুরষ্কৃত করেছিলেন। আমরা জানি, জিয়াউর রহমান মার্শাল ল’ আদালতে কত নিরীহ, নিষ্পাপ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। সেই জিয়াউর রহমান মার্শাল ল’ এর মাধ্যমে বহু মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদেরকে হত্যা করেছেন। নিরীহ সেনা কর্মকর্তাদেরকে হত্যা করেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদেরকে মার্শাল ল' এর আওতায় আনেননি। বরং খুনিদের বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সংসদ সদস্যদের মধ্যে ঢাকা-৫ এর কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, সংরক্ষিত আসনের জিন্নাতুল বাকিয়া, কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।
এএসএস/জেডএস