লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন-মধ্যবিত্তের দায় নিতে হবে সরকারকে

লকডাউনের কারণে কাজ হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের ভরণ-পোষণ, বাড়িভাড়া, ইউটিলিটি বিলসহ সব দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে ভাড়াটিয়া পরিষদ।
শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান সংগঠনের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান বাহার। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, গত বছর লকডাউনের ফলে কী রকম মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছিল তা আমরা সবাই দেখেছি। ওই সময় অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। এখনও তারা চাকরি পাননি। অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।
‘দাবি জানানোর পরও ভাড়াটিয়াদের বাড়িভাড়া, দোকানের ভাড়া মওকুফ করা হয়নি। খুবই স্বল্পসংখ্যক বাড়িওয়ালা উদারতার পরিচয় দিয়ে ভাড়া মওকুফ করেছিলেন। আগের লকডাউনের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই পুনরায় লকডাউনের ফলে দেশের নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণি নিঃশেষ হয়ে যাবে।’
ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেন, আমরা সরকারকে লকডাউনের শর্তগুলো ভেবে দেখার অনুরোধ করছি। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কার্যক্রম কীভাবে চালানো যায়, বিষয়টি বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় মানুষ করোনায় নয়, না খেয়ে মারা যাবে।
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। শনিবার (৩ এপ্রিল) এ তথ্য জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে লকডাউন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
‘আজ (শনিবার) সন্ধ্যার মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে। শিল্প-কলকারখানা শর্তসাপেক্ষ চালু থাকতে পারে’— বলেও জানান তিনি।
এএসএস/এমএআর/