জনগণের বহুমুখী উন্নয়নে আইন প্রণয়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী : স্পিকার

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২৩ আগস্ট ২০২৩, ০৬:০৮ পিএম


জনগণের বহুমুখী উন্নয়নে আইন প্রণয়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী : স্পিকার

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেছেন। জনগণের বহুমুখী উন্নয়ন সাধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যকর আইন ও নীতি প্রণয়ন করেছেন। সংবিধান অনুযায়ী জনজীবনের সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিতকরণে নিরলস কাজ করে চলেছেন শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৩ আগস্ট) ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্ট্যাডিজ কর্তৃক আয়োজিত ‘সংসদীয় গণতন্ত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের গুরুত্ব’ শীর্ষক সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে সমাজের অনগ্রসর জনগণের সুযোগের সমতা নিশ্চিতকরণের বিধান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সমাজের অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য ৯ লাখ ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, কৃষকদের ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছেন, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের আওতায় গরিবদের স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাজেট জনবান্ধব বাজেট। লিঙ্গ সংবেদনশীল এই বাজেটে সমাজের নারী ও শিশুদের কল্যাণের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর অন্তর্ভুক্ত করে এদেশের দারিদ্র্যের হার গত বারো বছরে শতকরা ৪০ থেকে ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে। অতি দারিদ্র্য নারী, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা নারী, গর্ভবতী এবং ল্যাকটেটিং মায়েদের জন্যও বিভিন্ন ধরনের ভাতা ও আর্থিক সহায়তা রয়েছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ শোষণ-বঞ্চনাহীন একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এদেশের সংসদ সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনগণের জীবনমানের ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছেন। বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যন্ত জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে জাতীয় সংসদ কাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লিডারশিপের কারণে বাংলাদেশ সবার সহযোগিতায় ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি তালিকা থেকে বের হয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এ সময় স্পিকার এ ধরনের সেশন আয়োজনের জন্য ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্ট্যাডিজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্ট্যাডিজের ডিরেক্টর সহযোগী অধ্যাপক ইকবাল সিং সেভিয়ার সঞ্চালনায় এ সেশনে বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তৌহিদুল ইসলামসহ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইন্সটিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্ট্যাডিজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসআর/কেএ

Link copied