জিয়া কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, কাতারকে জানালেন আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের ১৮ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। শুধু তাই নয়, হত্যায় জড়িতদের ইনডেমনিটির (দায়মুক্তি) মাধ্যমে মুক্তি দেয়া হয়েছিল— যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরল দৃষ্টান্ত।’
তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে জুডিসিয়ারি (বিচার) ব্যবস্থাকে উপেক্ষা করে সামরিক শাসন জারি করেন জিয়াউর রহমান। যা ছিল বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন।’
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে কাতার ও বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সংবিধানে ধর্ম-বর্ণ, জাতি, গোষ্ঠি, মত নির্বিশেষে নাগরিকের মানবাধিকার সংরক্ষণের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের ১৮ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যায় জড়িতদের ইনডেমনিটির মাধ্যমে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা হত্যায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করেন।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার নাগরিকের অধিকার সমুন্নত রাখা, মানবাধিকার রক্ষায় নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ সরকার মানবাধিকার রক্ষা, মানবতা বিরোধী অপরাধ দমনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডায়নামিক লিডার শেখ হাসিনাই মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরনার্থীদের আশ্রয় দিয়ে মাদার অব হিউম্যানিটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।’
কাতার মানবাধিকার কমিশন কর্তৃকপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পারস্পরিক সমঝোতা, সহযোগিতার মাধ্যমে মানবাধিকার আরও সমুন্নত ও সম্প্রসারিত হবে।‘
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা মনিটরিং করছে কমিশন : আইনমন্ত্রী
এদিন মানবাধিকার সুরক্ষা, সংস্কৃতি বিকাশের পথ চলায় পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাতার ও বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এসময় কমিশনের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা। এর আগে তিনি সমঝোতা স্মারকের প্রেক্ষাপট, উদ্দেশ্য ও কর্মপরিধি সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরেন।
কাতারের মানবাধিকার কমিশনের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং গেস্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশটির জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি চেয়ারপারসন ড. মোহাম্মদ সাইফ আল কুয়ারি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির।
জেইউ/এমএসএ