হোম অফিসে যাচ্ছে বিদেশি দূতাবাসগুলো

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হচ্ছে। এ সময়ে বিদেশি দূতাবাসগুলো বন্ধ থাকবে। বেশিরভাগ দূতাবাসের কর্মকর্তারা বাসা থেকেই কাজে সংযুক্ত থাকবেন। রোববার (৪ এপ্রিল) ঢাকার বিভিন্ন দূতাবাস সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
ঢাকার বিদেশি কয়েকটি দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকারের প্রজ্ঞাপন পেলেই দূতাবাসগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হবে। এরইমধ্যে দূতাবাসগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে কর্মকর্তাদের হোম অফিসের কথা জানিয়েছে।
বিদেশি দূতাবাসগুলোর মধ্যে ঢাকার জার্মান দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে বন্ধের ঘোষণা দেয়। দূতাবাসের বার্তায় বলা হয়, সোমবার থেকে জার্মান দূতাবাস বন্ধ থাকবে। এ সময় সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন বলে আশা করছি।
ঢাকার যুক্তরাজ্য দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, আজ (রোববার) ইস্টার সানডের বন্ধ চলছে। তবে কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে বাসা থেকেই তারা কাজ করবেন।
ঢাকার তুরস্ক দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকার যে নিয়ম করবে সেটা আমাদের মেনে চলতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে বাসা থেকে কাজ করতে হবে।
ঢাকার জাতিসংঘ ও সংস্থাটির শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের একই তথ্য জানা গেছে। ইউএনএইচসিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, জাতিসংঘসহ এদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনগুলো সরকারি প্রজ্ঞাপন পেয়েই সিদ্ধান্তের কথা জানাবে। প্রথম লকডাউনের সময় থেকেই অনেকের হোম অফিসের সুযোগ ছিল। এখন সবাইকে হোম অফিসে যেতে হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। লকডাউন ঘোষণা করে শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে। তবে শিল্প-কলকারখানা শর্তসাপেক্ষ চালু থাকতে পারে। বন্ধ থাকবে দোকানপাট-শপিংমল। পরে আজ (রোববার) কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এনআই/ওএফ