হজ ব্যবস্থাপনা আইনের আওতায় আনতে সংসদে বিল উত্থাপন
হজ ব্যবস্থাপনা আইনের আওতায় আনতে জাতীয় সংসদে একটি বিল উত্থাপন করেছেন ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। রোববার এ সংক্রান্ত ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিল- ২০২১’ সংসদে তোলেন তিনি। পরে বিলটি ৪০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, হজ ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার এ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি গঠন করবে। হজ ও ওমরাহ এজেন্সিকে শর্ত মেনে নিবন্ধন নিতে হবে।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, হজের চুক্তি এখানে (বাংলাদেশ) হওয়ার পর কেউ সৌদিতে গিয়ে ঠকলে ওই অপরাধ বাংলাদেশে হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং এই আইন অনুযায়ী বিচার হবে। বিলে বলা হয়েছে, নিবন্ধন পেতে হলে হজ এজেন্সিকে তিন বছর এবং ওমরাহ এজেন্সিকে দুই বছরের ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
হজ এজেন্সিগুলো অনিয়ম করলে তাদের নিবন্ধন বাতিলের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা হবে। ওমরা এজেন্সি অনিয়ম করলে নিবন্ধন হারানোর সঙ্গে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়বে। এছাড়া জামানত বাজেয়াপ্ত, নিবন্ধন স্থগিত, সতর্কীকরণ ও তিরস্কারের শাস্তির কথা উল্লেখ আছে সংসদে উত্থাপিত বিলে।
‘কোনো এজেন্সি পরপর দুবার তিরস্কৃত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার নিবন্ধন দুই বছরের জন্য স্থগিত হয়ে যাবে। কোনো এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল হলে ওই এজেন্সির অংশীদার বা স্বত্বাধিকারীরা পরে কখনও হজ বা ওমরা এজেন্সির নিবন্ধন পাবে না। অন্যকোনো এজেন্সির কাজেও সম্পৃক্ত হতে পারবে না।’
বিলে আরও বলা হয়েছে, হজ এজেন্সিগুলো স্বত্ব পরিবর্তন করতে চাইলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কোনো সংবিধিবদ্ধ আইন নেই। নির্বাহী আদেশ, নীতিমালা, পরিপত্র ইত্যাদি দ্বারা এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ বিষয়ে সংবিধিবদ্ধ আইন ও বিধিবিধানের প্রয়োজন দীর্ঘদিন ধরে অনুভূত হচ্ছে।
হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য সরকারি সংস্থাসমূহের দায়দায়িত্ব আইনি বিধিবিধান দিয়ে সুস্পষ্ট করা হলে তা হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও দক্ষ ও গতিশীল করতে সহায়ক হবে।
এইউএ/এমএআর/