খাদিজার চিকিৎসার ব্যবস্থা আমি করেছি : আইনমন্ত্রী

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা বিচার শুরুর আগেই এক বছর কারাগারে আছেন। এ ক্ষেত্রে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তার জামিন দাবি করেছে। যদিও খাদিজার জামিন আবেদন স্ট্যান্ড-ওভার রেখেছে উচ্চ আদালত। চেম্বার আদালতে গিয়েছিল সরকার পক্ষ।
অ্যামনেস্টির বক্তব্য নিয়ে আপনার মন্তব্য কি- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা যখনই কোনো মামলা নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করেছেন, সেটি যদি চলছে এমন হয়- আমি সবসময় বলেছি, সাব-জুডিস (বিচারাধীন) মামলা সম্পর্কে আমি মন্তব্য করব না। দুঃখের বিষয় হলেও সত্যি, অনেকেই বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে বক্তব্য দেন এবং তাদের স্বার্থে বিচার বিভাগকে কটাক্ষ করেন।
খাদিজা একজন শিক্ষার্থী, সরকার পক্ষ কেন তার জামিন আদালতের বিরোধিতা করেছে। এ বিষয়ে আপনার কাছ থেকে কোনো মতামত নেওয়া হয়েছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, না..আমার কাছ থেকে কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। যেহেতু এ মামলা এখনো বিচারাধীন, সেহেতু এ নিয়ে আমি কোনো কথা বলব না। তবে খাদিজার চিকিৎসার ব্যবস্থা আমি করেছি। আর আজ আমি পরিষ্কার করে দিয়েছি, সরকারের অবস্থান থাকবে, যখন স্ট্যান্ড-ওভার থেকে জামিনের আবেদন আবার শুনানির জন্য যাবে, সেই ব্যাপারে। আমার মনে হয় না, আজ কোনো বক্তব্য দেওয়া উচিত হবে।
তিনি আরও বলেন, সর্বোচ্চ আদালত তার জামিন স্ট্যান্ড-ওভার করে রেখেছে। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। একজন আইনজীবী হিসেবে আমি তাকে পরামর্শ দেব- সাইবার নিরাপত্তা আইনে যখন আমরা মানহানির সাজা কারাদণ্ড বাতিল করে দিয়েছি, সে কারণে মামলাটি যখন আপিল বিভাগে উঠবে, তখন তিনি যেন বলেন- সাইবার নিরাপত্তা আইনে এ পরিবর্তন আনা হয়েছে, আপনারা সেই বিবেচনায় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
এসএইচআর/এফকে