বিচার ব্যবস্থার ওপর ‘হস্তক্ষেপে’র নিন্দা পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের

বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার ওপর ‘হস্তক্ষেপ’ এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে সংগঠনটি বলে, দেশের বিচারব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কর্মসম্পাদনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে দেশ ও বিদেশে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। কিন্তু আমরা সম্প্রতি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বেশ কিছু নোবেল লরিয়েট বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার ওপর অযাচিতভাবে মন্তব্য করছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থেকে সরকারের সকল বিধিবিধান অনুসরণ করে তার প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন, এটাই স্বাভাবিক।
আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অন্যান্য নাগরিকের মতো ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও দেশের প্রচলিত আইন-কানুন মেনেই প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এর ব্যত্যয় হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নিকট বাংলাদেশের স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপমূলক একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন, যা খুবই দুঃখজনক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ নোবেল লরিয়েটসহ আন্তর্জাতিক ব্যক্তিবর্গের এ ধরনের খোলা চিঠি প্রেরণ স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপের অপপ্রয়াস বলে মনে করেন এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেন। নোবেল বিজয়ীদের মানুষ সম্মানের দৃষ্টিতে দেখে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো স্বাধীন দেশের স্বাধীন বিচারব্যবস্থা সকল নাগরিকের জন্য সমান বিধায় কারো পক্ষে প্রভাবান্বিত করতে চাওয়া কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান খান, মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ইঞ্জিনিয়ার এস এম খাবিরুজ্জামান, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও আইইবি’র প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুরসহ অনেকে।
এসকেডি
