চট্টগ্রামের সড়কে রিকশার দাপট, চলতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়ায়

করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আজ থেকে এক সপ্তাহের জন্য দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞার আওতায় বন্ধ রয়েছে সমস্ত গণপরিবহন।
গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে চট্টগ্রামের রাস্তাগুলোতে মূলত রিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের দাপট দেখা যাচ্ছে। নগরীর বড় বড় মার্কেট এবং মূল সড়কের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে অলিগলিতে কিছু দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে। চট্টগ্রাম নগরীর বাটালী রোডে শাহ আমানত স্যানেটারি বেলা ১১টার দিকে খোলা দেখা গেছে।
সকাল থেকে চট্টগ্রামের চকবাজার, নিউ মার্কেট, স্টেশন রোড মোড়সহ বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দেখা গেছে রাস্তাঘাট ফাঁকা। কোনো গণপরিবহন চলছে না। সিএনজিচালিত অটোরিকশাও দেখা যায়নি সড়কে। সাধারণ মানুষকে পায়ে হেঁটে ও রিকশায় করে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
এদিকে গণপরিবহন না চলায় রিকশায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। অলিগলি তো বটেই, মূল সড়কগুলোও ছিল রিকশার দখলে।
মোহাম্মদ হুমায়ন কবির নামে এক ব্যক্তি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগে যেখানে রিকশা ভাড়া ছিল ৫০ টাকা, আজ ভাড়া চাচ্ছে ৮০ টাকা। অফিসের কাজে যেতে হচ্ছে। অফিস খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়ার কারণে কষ্ট পেতে হচ্ছে । হালিম নামে এক রিকশাচালক ঢাকা পোস্টকে বলেন, অন্য স্বাভাবিক দিনের মতোই তিনি যাত্রী পাচ্ছেন।

আহমেদ মিজান নামে আরেকজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গণপরিবহন বন্ধ, কিন্তু অফিস চলছে। তাই বাধ্য হয়ে কিছু পথ পায়ে হেঁটে এসেছি। এখন বাকি পথ রিকশা করে আগ্রাবাদ যাবো।
এ ছাড়া মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং বন্ধ থাকার নির্দেশনা থাকলেও দেখা যাচ্ছে মূলত অ্যাপভিত্তিক সেবা বন্ধ রয়েছে। দরদাম করে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে মোটরসাইকেলে।
চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে যাত্রীর জন্য কয়েকটি মোটরসাইেকলকে অপেক্ষা করতেও দেখা গেছে। সেখানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চলে। তাই বাধ্য হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছি।
দোকান বন্ধ থাকার কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানালেন চট্টগ্রাম নগরীর জুবলী রোড এলাকার ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারের নিদের্শনা বাস্তবায়ন করতে আজ সকাল থেকে নগরীতে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন ।
এদিকে, চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা সদরে মার্কেটে কাপড়েরর দোকান খুললেও বেলা ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন অভিযান পরিচালনা করে সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
কেএম/এনএফ