লন্ডন থেকে এলেই নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন

লন্ডন থেকে যে-ই দেশে ফিরুক না কেন, তাকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশ দিয়েছেন।
দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।
বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন তিনি। আর সচিবালয় থেকে অংশ নেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সিসহ মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এটা নিয়ে (লন্ডন থেকে আসা ফ্লাইট) আজকে আলোচনা হয়েছে। লন্ডন ফ্লাইট থেকে যে-ই আসুক না কেন, তার যদি গতকালকেরও নেগেটিভ থাকে, তারপরও তাকে অবশ্যই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।'
এ বিষয়ে আজ (সোমবার) রাতে একটি মিটিং ডাকা হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘মিটিং করে একটি সিদ্ধান্তে আসবো। সেক্ষেত্রে দুইটা অপশন দেওয়া হচ্ছে। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন দিয়াবাড়ি ও হজ ক্যাম্পে আছে, সেখানে থাকবে ১৪ দিন। আর কিছু হোটেলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। বিদেশে যেমন অপশন দেওয়া আছে, সে হোটেলগুলো খালি করে তাদের ব্যবস্থা রাখা যাবে।'
তিনি বলেন, ‘আজকে বসে এরপর নোটিফিকেশন দিয়ে দেওয়া হবে। আজকেই করা যাবে না, করলে অনেকেই বিপদে পড়ে যাবে, সেজন্য একটি যৌক্তিক সময় নিয়ে নোটিফিকেশন দেওয়া হবে যে ওই দিন থেকে যারা লন্ডন থেকে আসবে তারা এই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তারা সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকবে অথবা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যদি কোনো হোটেল নির্ধারণ করতে পারি সেখানে থাকবে।'
হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকার খরচ কারা দেবে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘ওই (যিনি থাকবেন) ব্যক্তি দেবেন।'
উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের যারা-যারাই যাচ্ছে সিংগাপুরে, তাদের এছাড়া কোনো অপশন নাই। আমার একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু গত কয়েকদিন আগে সিংগাপুর গেছে, তাকে হোটেলে নিয়ে গেছে, আগে থেকেই এ হোটেল এলাউ করে দিচ্ছে, রুমের বাইরে আসাই যাবে না।‘
সরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকলেও কি সরকারকে ফি দিতে হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘এটা দেখি কি করা যায়, আজকে আলোচনা করি, রাতে আলোচনা করবো।‘
ইউরোপে ইতোমধ্যে এ ভাইরাস আবারও ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দেরি হচ্ছে কি না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যে প্রটোকল আছে, আমরা সেটি মানার চেষ্টা করছি।‘
এসএইচআর/এসএম