একটা সুতাও বের করতে পারিনি

রাজধানীর কৃষি মার্কেটের ভয়াবহ আগুনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মার্কেটের বহু ব্যবসায়ী। এ মার্কেটে সবজি দোকানের পাশাপাশি জুতার দোকান, স্বর্ণের দোকানসহ অনেক ধরনের দোকান রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোতে কোটি কোটি টাকার মালামাল ছিল।
ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর এলাকার বহু মানুষ তাদের নিত্যদিনের কেনাকাটার জন্য এ মার্কেটের ওপর নির্ভর করতেন। মার্কেটটিতে ৫শর বেশি দোকান ছিল। এসব দোকানে কাজ করে ২ হাজারের বেশি মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এর আগে নিউ মার্কেট ও বঙ্গবাজারে আগুনের সময় তারা দেখেছেন আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের প্রধান উপকরণ পানি। কিন্তু রাজধানীতে আগুন নেভানোর মতো পানির উৎসের সংকট রয়েছে। এ মার্কেটের আগুন নেভাতে গিয়েও একই সমস্যার মুখে পড়ে ফায়ার সার্ভিস। পানির উৎস খুঁজতে গিয়ে সময় নষ্ট হয় আর আগুনের লেলিহান শিখা আরও ছড়িয়ে পড়ে।
প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
রাতে আগুন লাগার পর প্রথমে ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে একে একে ১৭টি ইউনিট কাজ শুরু করে।
ভোর পৌনে ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হলেও এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। কিছুক্ষণ পরপর এসি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
মার্কেটের একজন ব্যবসায়ী বলেন, একটা সুতাও বের করতে পারিনি। আমার দোকানে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল।
দিনের আলো ফোটার পর ব্যবসায়ীরা আগুনের খবর পেয়ে মার্কেটে আসছেন, ক্ষয়ক্ষতি দেখছেন।
এখন পর্যন্ত জানা যাচ্ছে— মার্কেটের ডান পাশের অংশ থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে পুরো মার্কেটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এখন এ মার্কেটের বেশিরভাগ অংশ ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে।
এদিকে রাতে আগুন লাগার পর থেকে ঘটনাস্থলে ভিড় করেছেন উৎসুক জনতা। উৎসুক জনতার কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করতে অসুবিধায় পড়তে হয়।
এনএফ
