বিদেশ থেকে জঙ্গি দল টঙ্গীতে আসার কথা ছিল, একজনকে গ্রেপ্তার

বিদেশ থেকে জঙ্গিদের একটি দল গাজীপুরের টঙ্গীতে আসার কথা ছিল। তারা বাংলাদেশে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের একজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বারিধারায় এটিইউর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার (অপারেশন) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন।
গ্রেপ্তার জঙ্গির নাম মোহাম্মদ আরিফ (২৩)। তিনি টঙ্গীর ভারান এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
এটিইউ জানায়, বিদেশ থেকে কিছু জঙ্গি আসবে বলে আরিফ ১৫-২০ দিনে আগে একটি ফোন পায়। আরিফসহ বিদেশ থেকে এসে জঙ্গিরা একত্রিত হয়ে টঙ্গী এলাকায় একটি মিটিংয়ে বসার কথা ছিল। মিটং শেষে তারা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করবে বলে পরিকল্পনা করে আসছিল।
গ্রেপ্তার আরিফ, আরেক জঙ্গি ইয়াকুব হুজুর নামে একজনের সহযোগী হিসেবে কাজ করছিলেন। এছাড়া এই পরিকল্পনার সঙ্গে ওমর ফারুক ও জাহাদ খান নামে আরও দুই জঙ্গি জড়িত আছেন।
এসব বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির ভাটারা থানাধীন এলাকা থেকে আরিফকে গ্রেপ্তার করে এটিইউর একটি দল।
তিনি বলেন, আরিফ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য। জসীম উদ্দিন রাহমানি ও তামিম আল আদনানীদের ওয়াজ শুনে উদ্বুদ্ধ হয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রথমে সমর্থক হন। পরে তিনি নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠনটির সদস্য হন। গত ১৫-২০ দিনে আগে ইয়াকুব হুজুর নামে এক জঙ্গি ফোন করে আরিফকে জানান, বিদেশ থেকে সংগঠনের আরও কিছু সদস্য আসবে। পরে তারা সবাই টঙ্গী এলাকায় গোপন মিটিংয়ে একত্রিত হবে।
মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, গোপন তথ্য ছিল, তারা টঙ্গী এলাকায় একটি গোপন মিটিং এ মিলিত হবে এবং পরে একটি কার্যক্রমে অংশ নেবে। গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর আমরা নজরদারি বৃদ্ধি করি। নজরদারির এক পর্যায়ে মনে হয়েছে তারা কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে এই মিটিং করতে চাচ্ছে। পরে গতকাল অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের তথ্যও আমাদের কাছে আছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
গ্রেপ্তারসহ পলাতক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এমএসি/এমএসএ