চশমার কাচের দাগ দূর করার সহজ কিছু উপায়

আধুনিক লেন্সের যুগেও চশমার কদর কমেনি। কিন্তু সমস্যা হল, দীর্ঘদিন ব্যবহারের পর চশমার কাচে ঘষা দাগ পড়ে যায়। তা দেখতে যেমন খারাপ, তেমনই চোখের পক্ষেও ভাল নয়। দৃষ্টিপথে বাধা সৃষ্টি করে। খুব সহজে এই দাগ তুলে ফেলা যেতে পারে।
কেমন করে দেখে নেওয়া যাক—
টুথপেস্ট— শুধু দাঁত নয়, চশমার কাচও পরিষ্কার করতে পারে এই বিশেষ জিনিসটি। একটি পরিষ্কার নরম কাপড় বা তুলোয় কিছুটা টুথপেস্ট নিয়ে চশমার কাচের উপর গোলগোল করে মুছতে হবে। ১০ সেকেন্ড পর অন্য একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে আবার মুছতে হবে যতক্ষণ না ঘষা দাগগুলি কমে যাচ্ছে।
বেকিং সোডা— রান্নাঘরের এই অতিসাধারণ জিনিসটিও কাজে লাগতে পারে। গরম জল দিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করে একই ভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে চশমার কাচ।
সাদা ভিনেগার— অনেক কাজে লাগে সাদা ভিনেগার। চশমার কাচও ব্যতিক্রম নয়। সাদা ভিনেগারে বেকিং সোডা মিশিয়ে সাদা ফেনা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপর তাতে তুলো বা নরম কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে চশমার কাচ পরিষ্কার করে নিতে হবে।
এরোসল স্প্রে— যে বিশেষ তরলটি ছিটিয়ে আমরা টিভি স্ক্রিন, ফ্রিজ, জানলার কাচ পরিষ্কার করি, সেই একই তরল দিয়ে খুব সহজে পরিষ্কার করে নেওয়া যায় নিজের চশমার কাচ দু’টিও। তরল সাবানের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা এরোসল স্প্রে মিশিয়ে মুছে ফেলতে হবে চশমার কাচ। তাহলেই তা ঝকঝক করবে।
কার ওয়াক্স— কার ওয়াক্স দিয়েও চশমার কাচ পরিষ্কার করা যায়। নরম কাপড়ে কার ওয়াক্স লাগিয়ে গোল গোল করে মুছতে হবে। তারপর কাচে লেগে থাকা মোম পরিষ্কার করে নিয়ে ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
রাবিং অ্যালকোহল— করোনা অতিমারির সময় এই জিনিসটির ব্যবহার একেবারে সাধারণ পর্যায়ে এসে গিয়েছিল। বেকিং সোডার সঙ্গে রাবিং অ্যালকোহল মিশিয়েও চশমার কাচ খুব ভাল ভাবে পরিষ্কার করে ফেলা যায়।
এমজে
