কাজ নেই, বাঁশির সুরে মেতেছেন গাবতলীর কর্মজীবীরা

নাম তার শাজাহান মিয়া। পেশায় হকার। গাবতলী বাস টার্মিনালে পরিহনগুলোতে হকারি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সরকারের অঘোষিত লকডাউন তথা কঠোর নিষেধাজ্ঞায় নিজের কাজ থেকে অবসর পেয়েছেন তিনি। তাই নিজ কর্মস্থল গাবতলী বাস টার্মিনালে মধুর বাঁশির সুরে সবাইকে মাতাচ্ছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) গাবতলী বাস টার্মিনালে প্রবেশ করতেই মধুর বাঁশির সুর কানে ভেসে এলো। একটু এগোতেই চোখে পড়ল কয়েকজন ব্যক্তি গভীর মনোযোগে বাঁশি বাজানো শুনছেন।
একে একে তিনি শোনালেন ‘আমরা তোমাদের ভুলবো না’,‘পারে কে যাবি নবীর নৌকোতে আয়।’
শাজাহান মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন পরিবহনের হকারি করি। চকলেট জাতীয় আরও অনেক কিছু বিক্রি করেই আমার সংসার চলতো। সরকারের লকডাউন ঘোষণার পর সবকিছু বন্ধ হয়ে গেছে। আজ সকালে বন্ধুদের অনুরোধেই গাবতলী বাস টার্মিনাল এসেছি। কাজ নেই, তাই বসে থেকে তো লাভ নেই। এজন্যই মনের আনন্দে বাঁশি বাজাচ্ছি। আমি ছোটবেলা থেকেই বাঁশি বাজাতে পারি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গানের সাথেও বাঁশি বাজিয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার বলেছে এক সপ্তাহের লকডাউন দিয়েছে। এক সপ্তাহ হলে ঠিক আছে। কিন্তু যদি লকডাউন বাড়ে তাহলে আমাদের জন্য সমস্যা হবে। কারণ, আমরা তো দিন আনি দিন খাই। লকডাউন বেড়ে গেলে পরিবার নিয়ে সমস্যায় পড়ে যাব। তাছাড়া গাড়িও চলছে না যে বাড়িতে চলে যাব। আমাদের দাবি থাকবে লকডাউন না বাড়িয়ে সবকিছু খুলে যাওয়াই ভালো।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকারঘোষিত কঠোর নির্দেশনার আজ দ্বিতীয় দিন।
এসআর/এনএফ