কর্মজীবী প্রবীণরাসহ সব শ্রমিকের ডাটাবেজ তৈরির দাবি

অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মজীবী প্রবীণরাসহ সব শ্রমিকের ডাটাবেজ তৈরি করাসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে অক্যুপেশনাল সেইফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (ওশি) ফাউন্ডেশন।
রোববার (১ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— সব প্রবীণ শ্রমজীবী মানুষের জন্য বয়স্ক ভাতা নিশ্চিত করা; সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তির জন্য অন্যান্য ভাতা প্রত্যাহার নিয়ম বাতিল করা; বয়স্ক ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা ও ভাতা গ্রহীতার সংখা বৃদ্ধি করা; অবদানকারীর অনুপস্থিত ক্ষেত্রে মনোনীত পেনশন প্রাপ্তির সময়কাল ৭ থেকে কমিয়ে ৪ বছর করা এবং অবিলম্বে একটি ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠন করা, যা ইউপিএস এর ওপরে নতুন আইন ও নিয়ম পর্যালোচনা করে বিশ্বব্যাপী ন্যূনতম মান বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংশোধনের সুপারিশ করবে।
মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি পুলক ধর বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় দেড় ১ কোটি ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষ রয়েছে, যা দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৮ শতাংশ। ২০৫০ সালের মধ্যে এ সংখ্যাটি ৩ কোটি ৬ লাখে গিয়ে দাঁড়াবে বলে অনুমান করা হয়, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ২২ শতাংশ। এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে প্রবীণ মানুষ মানেই বোঝা নয়। অনেকেরই অর্থনৈতিকভাবে টিকে থাকার জন্য রয়েছে যথাযথ দক্ষতা, জ্ঞান, সঞ্চয় এবং সম্পদ। বর্তমানে বাংলাদেশ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ৫৮ লাখ এক হাজার জন মাসিক ৬০০ টাকা করে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন, যা মোট প্রবীণ জনগোষ্ঠীর ৩৯ শতাংশ।
তিনি বলেন, প্রকৃত পক্ষে অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মজীবী বিপুল সংখ্যক প্রবীণ শ্রমজীবী মানুষ এখনো বয়স্ক ভাতা কর্মসূচির বাইরে রয়েছেন। এছাড়া প্রবীণ নিবাসগুলোতে থাকার জন্য যে অর্থ ব্যয় করতে হয় সে সামর্থ্য প্রবীণ শ্রমজীবী মানুষের নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় রিকশা শ্রমিকসহ অন্যান্য খাতে শ্রমিকদের কর্মঘণ্টা ও আয় কমে আসছে, যা তাদের জীবিকা নিরাপত্তাকে অনিশ্চিত করছে।
সম্প্রতি ঘোষিত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নীতিমালায় বলা হয়েছে, সামাজিক সুরক্ষায় ভাতা প্রাপ্ত নাগরিকগণ পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে হলে ভাতা প্রাপ্তির তালিকা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করতে হবে। এ সিদ্ধান্ত অমানবিক ও অগ্রহণযোগ্য।
তাই আমাদের দাবিগুলো সরকারকে মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
এমএইচএন/এসএম