গুলশানে ১০তলা থেকে পড়ে গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু

রাজধানীর গুলশানের সুবাস্তু নজর ভ্যালি আবাসিক ভবনের দশতলা থেকে পড়ে পান্না খাতুন নামে এক গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে তাকে কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে বা তিনি নিজে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে কি না প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, মৃত পান্না খাতুনের বয়স ১৮। তার বাবার নাম মো. কাইয়ুম হোসেন।
পান্না খাতুনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা কেয়ারটেকার জাকির হোসেন বলেন, গত এক বছর ধরে গৃহকর্তা ছগিরের চট্টগ্রামের বাসায় কাজ করে মৃত পান্না। চলতি মাসের এক তারিখে ঢাকার বাসায় প্রোগ্রাম থাকায় ছগির আহমেদ তাকে এখানের বাসায় নিয়ে আসে। পরে আজ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পাশের পঞ্চম তলার মার্কেটের উপর পড়ে থাকতে দেখে পাশের বাসার এক লোক।
আরও পড়ুন
পরে ছগির আহমেদের বাসায় খবর দিলে আমি এবং ওই বাসার বাবুর্চি তাকে উদ্ধার করে পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, ওই মেয়ে নিজে পড়ে গেছে না কি কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে- সে বিষয়ে আমরা কিছুই বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে জানতে গৃহকর্তা ছগিরকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ওই গৃহকর্মীর মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির কেয়ারটেকার জাকির হোসেন ও বাবুর্চি ইব্রাহিমকে পুলিশ ক্যাম্পে আটক রেখেছি। বিষয়টি গুলশান থানাকে জানিয়েছি। তারা এলে এই দুইজনকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এসএএ/এমজে