‘অংশীদারদের কথা শুনতে-অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের সমর্থনে এসেছি’

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ বলেছেন, আমরা এখানে বিভিন্ন অংশীদারদের কথা শুনতে ও একটি স্বচ্ছ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার জন্য সমর্থন জানাতে এসেছি।
রোববার (৮ অক্টোবর) ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) -এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কার্ল ইন্ডারফার্থকে উদ্বৃতি দিয়ে এ কথা বলা হয়েছে।
আইআরআই জানায়, আইআরআই ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) যৌথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম) মোতায়েনের লক্ষ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতির বিষয়ে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করবে।
সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আইআরআই জানায়, প্রতিনিধিদলে ছয়জন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ, ইউএসএআইডির সাবেক উপপ্রশাসক বনি গ্লিক, মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য মারিয়া চিন আবদুল্লাহ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সাবেক সহযোগী জামিল জাফের, এনডিআইয়ের আঞ্চলিক পরিচালক (এশিয়া-প্যাসিফিক) মনপ্রীত সিং আনন্দ ও আইআরআইয়ের এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক জোহানা কাও।
বনি গ্লিক বলেন, এই যৌথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রতি আমাদের আগ্রহ ও সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ। আমরা মূল অংশীদারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা ও বাংলাদেশকে নির্বাচনের দিকে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বতন্ত্র, নিরপেক্ষ ও সময়োপযোগী বিশ্লেষণ দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।
ঢাকায় অবস্থানকালে প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতা, নাগরিক সমাজের সংগঠনসহ বিভিন্ন নির্বাচনী অংশীদারের সঙ্গে বৈঠক করবে।
সফর শেষে পর্যবেক্ষক মিশন তাদের প্রাপ্ত তথ্য ও সুপারিশগুলো তুলে ধরবে। এই মিশন আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণনীতি অনুযায়ী পরিচালিত হবে। ইউএসএআইডির সহায়তায় এই মিশন পরিচালিত হচ্ছে।
এনআই/এসএম