ঢামেকের জরুরি বিভাগে হঠাৎ কমেছে রোগী

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রতিদিনই হাজারো রোগীর ভিড় থাকে। দীর্ঘ সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থেকে চিকিৎসা নিতে হয় রোগীদের। যদিও আজকের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ আজ দিনভর ছিল ফাঁকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জটিল রোগ ছাড়া অনেক রোগী হাসপাতালে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। এজন্য ঢামেকের জরুরি বিভাগসহ বিভিন্ন ইউনিটে রোগীর চাপ ছিল কম।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঢামেকের জরুরি বিভাগ, ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টার, এক্সরে রুম, অবজারভেশন রুম, নিউরো ইমার্জেন্সি ও সিটিস্ক্যান রুমে রোগীর সংখ্যা একেবারেই কম।
জরুরি বিভাগের সামনে দায়িত্বরত আনসার সদস্য নাসির বলেন, আমি প্রতিদিন রোস্টার অনুযায়ী ডিউটি করি। আজ রোগীর সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। রোগী কম থাকুক আর বেশি থাকুক আমাদের ডিউটি করতে হয়।

জরুরি বিভাগে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ডিউটিরত পুলিশ সদস্য ইলিয়াস ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি এখানে দুপুর থেকে ডিউটিতে আছি। প্রতিদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শতশত রোগী আসেন। রোগীর লাইন লেগে যায়। কিন্তু আজ একেবারেই রোগী কম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের কাজ রোগীদের সেবা দেওয়া। আমরা কখনই আশা করি না যে রোগী কম আসুক। আমাদের কাছে সেবাই একমাত্র কাজ।
৯৮ নং রুমের নিউরো ইমার্জেন্সির নার্স ফেরদৌস ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের এখানে প্রতিদিন মাথায় আঘাত নিয়ে অসংখ্য রোগী আসেন। কিন্তু আজ রোগীর একেবারেই কম। বলতে পারেন অলস সময় কাটাচ্ছি।

জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের এখানে কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু নন কোভিড রোগীর সংখ্যা কমেছে। জরুরি বিভাগে রোগীর সংখ্যা কম।আমরা ২৪ ঘণ্টাই সেবা দিতে প্রস্তুত। রোগী কম থাকলেও আমাদের সেবা দিতে হবে, বেশি থাকলেও সেবা দিতে হবে।
এসএএ/এসকেডি