ভাওয়াইয়া গানকে জনপ্রিয় করতে আব্বাসউদ্দীনের ভূমিকা অনেক

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ভাওয়াইয়া গানকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে আব্বাসউদ্দীন আহমদ ও তার পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সেজন্য আব্বাসউদ্দীন আহমদকে ভাওয়াইয়া সম্রাট বলা হয়। বংশ পরম্পরায় এ লোকগানকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন আব্বাসউদ্দীন আহমদের ছেলে মোস্তফা জামান আব্বাসী, মেয়ে ফেরদৌসী রহমান ও নাতনি নাশিদ কামাল।
রোববার (১৫ অক্টোবর) গুলশান লেডিস ক্লাবে বিশিষ্ট লোক সংগীতশিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমদের ১২২তম জন্মবার্ষিকী ও আব্বাসউদ্দীন সংগীত অ্যাকাডেমির ৩৫ বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংগীত বিষয়ক বিভিন্ন কোর্স সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
কে এম খালিদ বলেন, ভাওয়াইয়া গানের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে কুড়িগ্রামকে ভাওয়াইয়া নগরী হিসেবে ঘোষণা করেছি। শেখ মুজিবুর রহমান আব্বাসউদ্দীন আহমদ কর্তৃক ভাষা আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধু রচিত অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে যার উল্লেখ রয়েছে।
তিনি বলেন, লোকসংগীত শিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমদের নামে প্রতিষ্ঠিত আব্বাসউদ্দীন সংগীত অ্যাকাডেমিকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাৎসরিক অনুদান দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় তিনি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থান সংকুলান সাপেক্ষে আব্বাসউদ্দীন সংগীত অ্যাকাডেমিকে স্থান বরাদ্দের আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আব্বাসউদ্দীন সংগীত অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ বিশিষ্ট লোক সংগীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন আব্বাসউদ্দীন আহমদের ছেলে মোস্তফা জামান আব্বাসী ও নাতনি অধ্যাপক ড. নাশিদ কামাল।
ওএফএ/কেএ