অবৈধ সম্পদ মামলার আসামি নৌ-পরিবহনের সেই ফখরুল ও তার স্ত্রী

সাড়ে তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও শিপ সার্ভেয়ার (সাময়িক বরখাস্ত) এ কে এম ফখরুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী মোহসিনা ইসলাম বিউটির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে বৈধ আয়ের উৎস না থাকা সত্ত্বে তার ও তার স্ত্রীর নামে নামে ৩ কোটি ৬৯ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৭ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। ফখরুল ইসলামের স্ত্রী বিউটি একজন গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও এতো সম্পদের মালিক কীভাবে হলেন, তার ব্যাখ্যা দিতে পারেনি দুদকের কাছে। অন্যদিকে দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে ওই সম্পদ মূলত ফখরুল ইসলামের, অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের মাধ্যমে এসব সম্পদ গড়েছেন। সে কারণে স্ত্রীকে প্রধান আসামি ও তাকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে মামলায়।
আরও পড়ুন
মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ (১) ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০১৭ সালের ১৮ জুলাই ঘুষের ৫ লাখ টাকাসহ নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের ফখরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছিল দুদক। সংস্থাটির তৎকালীন ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের টিম অভিযান পরিচালনা করে। এ ঘটনায় মামলা ও চার্জশিটের পর বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, বেঙ্গল মেরিন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেসের অথরাইজড পার্সন এএনএম বদরুল আলমের কাছ থেকে ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ২১টি জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য প্রতিটি জাহাজের জন্য আকারভেদে ৫-১৬ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন ফখরুল ইসলাম। বিষয়টি দুদককে অবহিত করলে ফাঁদ মামলা পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরএম/এসএম