দক্ষিণ চট্টগ্রামে চলছে সকাল-সন্ধ্যা পরিবহন ধর্মঘট
সড়কে অননুমোদিত দ্বিতল স্লিপার বাস, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ত্রি-হুইলার বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে দক্ষিণ চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলায় পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে মালিক-শ্রমিকদের একটি সংগঠন।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) ভোর ৬টায় এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চল, কক্সবাজার, বান্দরবান জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নামে একটি সংগঠনের ডাকা এ ধর্মঘট শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টায়। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
সংগঠনটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মুছা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের দাবি সড়ককে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা এবং সড়ক দুর্ঘটনা কমানো। সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে সড়কে অবৈধভাবে টমটম, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ত্রি-হুইলার চলছে। এগুলো যেনতেনভাবে চলাচল করছে। এ কারণে আমাদের গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ছে। এর বাইরে ঢাকা থেকে কতগুলো দ্বিতল বাস আসে। তারা এগুলোর নাম দিয়েছে স্লিপার কোচ। কিন্তু স্লিপার কোচ নামে কোনো গাড়িকে বিআরটিএ অনুমোদন দেয়নি। এসব গাড়ি চলাচলের সক্ষমতা আমাদের সড়কের নেই।
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কিছু বাস চট্টগ্রাম পৌঁছে অলংকার মোড় থেকে কক্সবাজারে অননুমোদিতভাবে যাত্রী নিয়ে যায়। যে কারণে আমাদের সঙ্গে তাদের প্রতিযোগিতা হচ্ছে। এছাড়া বহদ্দারহাট ও কক্সবাজার বাস টার্মিনাল সংস্থার করতে হবে। তাছাড়া জরিমানার একটা বিষয় আছে, ঢাকায় যেটা ২ হাজার টাকা, চট্টগ্রামে সেটা ৪ হাজার টাকা নেওয়া হয়। জরিমানার এ বৈষম্য দূর করতে হবে। মহাসড়কের পাশে দোকানপাট ও হাটবাজারসহ কোনো স্থাপনা যাতে না থাকে। এসব দাবিতে ধর্মঘট চলছে। দাবি আদায় না হলে আমরা বৈঠকে বসে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে হঠাৎ দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবানের সড়কে ১২ ঘণ্টা ধর্মঘট আহ্বান করা হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব রোডে চলাচলকারী লোকজন।
মো. আরমান নামে একজন জানান, সকালে সাতকানিয়া থেকে চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার জন্য কেরানিহাট এসে দেখি কোনো বাস গাড়ি নেই। বাধ্য হয়ে ভেঙে ভেঙে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে শহরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছি।
এমআর/এসএসএইচ