ক্যান্সারে সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক লাবণ্য আহমেদের মৃত্যু

ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সংসদ সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখার পরিচালক লাবণ্য আহমেদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে কলকাতার টাটা মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ২০১৮ সাল থেকে তিনি দুরারোগ্য ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিলেন। সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংসদ সচিবালয় জানায়, গত ৫ বছর ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। অবশেষে আজ (বুধবার) ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
গত কয়েকদিন যাবৎ তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। এর আগে, গত মাসে লাবণ্য আহমেদের বোনম্যারো ট্রান্সফার সফলভাবে হলেও অপারেশন পরবর্তী নানা জটিলতায় ক্রমশ তার শরীর খারাপ হতে থাকে। সে কারণে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
লাবণ্য আহমেদ পেশাগত জীবনে একজন দায়িত্বশীল,দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে নিজ কর্মক্ষেত্র, গণমাধ্যম এবং তথ্য ও সম্প্রচার ক্ষেত্রে সুপরিচিত ছিলেন। সততা ও নিষ্ঠার পাশাপাশি তার মার্জিত আচরণ এবং চমৎকার ব্যক্তিত্বের কারণে তিনি সবার স্নেহ-ভালবাসা-শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৯৬ সালের জুলাই মাসে সহকারী পরিচালক হিসেবে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ অধিশাখায় যোগ দেন। এরপর থেকে সুদীর্ঘ সময়ে সংসদ সচিবালয়ের সর্বস্তরের সহকর্মীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়পাত্র ছিলেন তিনি।
লাবণ্য আহমেদ শহীদ পরিবারের সন্তান। আপন বড় মামা শহীদ শহীদুল্লা কায়সার এবং মেজ মামা শহীদ জহির রায়হানের ভাগ্নি তিনি। তার বাবা নাসির আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ও অস্ত্র প্রশিক্ষক। ১৯৭২ সালে দায়ের হওয়া বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলার বাদীও তিনি। মা শাহেনশা বেগম ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নিবেদিত সদস্য। মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী, বন্ধু-স্বজন রেখে গেছেন।
এদিকে, লাবণ্য আহমেদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু এমপি, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী ও চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম ও প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নূরুজ্জামান সংসদ সচিবালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এসআর/কেএ