মামুনুল হকের শাস্তি দাবি কৃষিবিদ পরিষদের

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ন মহাসচিব মামুনুল হককে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী, জাতির পিতার অবমাননাকারী, ইসলামের চেতনাবিরোধী ও লেবাসধারী, ভণ্ড এবং ব্যভিচারী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ। একইসঙ্গে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
রোববার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর খামারবাড়ির সামনের সড়কে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, 'মৌলবাদি শক্তি যখনই সুযোগ পেয়েছে তখনই জাতিকে ধ্বংস করার জন্য পায়তাঁরা শুরু করেছে। সমাজকে ভিন্ন পথে পরিচালিত করার জন্য পায়তাঁরা করেছে। আজকের ধর্মের নামে, ইসলাম হেফাজতের নামে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা মাঠে নেমেছে। তারা আজকে ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। আজকে কিশোরগঞ্জে একজন কিশোরকে বলাৎকার করা হয়েছে, তথাকথিত হুজুররা এই বলাৎকার করেছে। আর আপনারা মামুনুল হকের কর্মকাণ্ড তো দেখেছেন। এটি কোনোভাবেই ইসলামসম্মত নয় এবং এরা ইসলামের হেফাজতকারী নয়।'
বর্তমানে হেফাজতে ইসলামের নামে দেশে নাশকতা করা হচ্ছে। এর লক্ষ্য হলো দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে অরাজকতা তৈরি করা। আমরা এই মৌলবাদকে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিদায় করব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, সেটি আমরা প্রতিষ্ঠা করব। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, ইসলামবিরোধী মামুনুল হক গংদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
মানববন্ধনে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের মহাসচিব ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, 'স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আজকে আমরা দেখছি স্বাধীনতাবিরোধীরা স্বাধীনতা দিবসে ভাঙচুর করে, হত্যা করে। তারা মসজিদকে ব্যবহার করে, মাদরাসায় বসে, ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে ব্যবসা করে। জনগণের ওপর হামলা চালায়। পোস্ট অফিসে হামলা চালায়, রেল স্টেশনে হামলা চালায়, থানা ঘেরাও করে, পুলিশের ওপর আঘাত হানে, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। এরা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিষবাষ্প ছড়ায়, এদের কোনোভাবেই বিশ্বাস করা যায় না। এদেরকে মাটির গর্ত থেকে বের করে এনে বিচার করতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'এই মামুনুল হক গংদের যারা সমর্থন করে তারাও দেশদ্রোহী। তারা পাকিস্তানের এজেন্ট। আমরা বাংলাদেশে পাকিস্তানের এজেন্টদের দেখতে চাই না। প্রয়োজন হলে তাদের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে দেশ থেকে বের করে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।'
মানববন্ধনে বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী সদস্য কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএন/জেডএস