সংসদে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর দাবি শামীম পাটোয়ারীর
গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, যে শিল্পে কাজ করে একজন শ্রমিক ৩০ দিন খেতে পারে না, বাচ্চার স্কুলের বেতন দিতে পারে না। ২০ দিনের মাথায় বেতন শেষ হয়ে যায়, সেই শিল্পের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম হায়দার বলেন, একদিকে মালিক পক্ষের স্বার্থ, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন অনেক বাড়ালে বেশকিছু গার্মেন্টস ড্রপ আউট হবে। ২৫ বছর ধরে আপনি লাভ করেছেন, দুই বছর ঝুঁকি নিতে পারবেন না? ২৫ বছরের লাভে বাড়ি করেছেন তিনটা, চারটা, পাঁচটা। দেশে-বিদেশে ছেলে-মেয়েকে পড়াচ্ছেন। শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর ঝুঁকি নিতে হবে। পাশাপাশি বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে দরকষাকষি করে মূল্য বাড়াতে হবে। সবকিছুর সমন্বয় করে শ্রমিক স্বস্তিতে না থাকলে দেশ স্বস্তিতে থাকবে না।
জাতীয় পার্টির এ এমপি বলেন, একটা খাতের উন্নয়ন হচ্ছে মানে হলেও সে খাতের শ্রমিকদেরও উন্নয়ন করতে হবে। আমরা গার্মেন্টস মালিকদের চকচকে বাড়ি দেখি, কারখানাও চকচকে দেখছি। গার্মেন্টস শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের উন্নতি দেখছি না। সকালে যখন হাঁটি, তখন দেখি হাজার হাজার মেয়ে হেঁটে যাচ্ছে, সবাই লিকলিকে। কারও স্বাস্থ্য ভালো না, খেতে পারে না ঠিকমত। ডিম খায় না সপ্তাহে একদিনও। ডাল-ভাত খায়।
আরও পড়ুন
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকরা অনেক দুর্ঘটনার শিকার হয় কিন্তু মালিক পক্ষ সেভাবে যত্নশীল না। যদিও আইনি কাঠামোতে আছে তিন দিনের বেশি হাসপাতালে থাকলে তারা দেখবেন কিন্তু সেটা দেখে না। আজকে তাদের সেই পরিবেশও নেই, পরিবহনও নেই । বাচ্চাদের দেখার জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার নেই। হাসপাতাল নেই। বেতন ভাতা কম। অনেক সমস্যায় জর্জরিত শ্রমিকরা। এ দিকটা খেয়াল করা দরকার। মালিকরা টাকার পাহাড় গড়বে আর শ্রমিকরা প্রয়োজনমত অর্থ পাবে না, তা মানবিক নয়। মানবিকভাবে দেখলে তাদের স্বার্থগুলো পূরণ করতে পারি।
রওশন আরা মান্নান বলেন, কিছু কিছু গার্মেন্টস মালিকের অনেক টাকা, তারা বিদেশে বাড়ি-গাড়ি করেছেন। শ্রমিকদের অনেক কষ্ট, তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে তাদের ফুরাবে না।
ফখরুল ইমাম বলেন, আজকে গার্মেন্টস শিল্প খুব মুশকিলে আছে। সারাদিন কাজ করে নিজের খরচটুকু উপার্জন করা না গেলে, সেই কাজটার সার্থকতা থাকে না। সেটা জোর করে কাজ করার শামিল হয়। এদিকে সরকার ও গার্মেন্টস মালিকদের দৃষ্টি দেওয়া উচিত।
এসআর/এসকেডি