‘লিঙ্গ সমতা ও বৈষম্য দূরীকরণে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা প্রশংসনীয়’

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশের বিপুল সংখ্যক তরুণের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারি। লিঙ্গ সমতা আনয়ন ও লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা প্রশংসনীয়।
শনিবার (০৪ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ আয়োজিত ১৪তম সাউথ এশিয়ান ইকোনোমিক সামিটে 'রিফ্রেমিং সাউথ এশিয়ান ইকোনোমিক কোঅপারেশন ইন দ্য নিউ কনটেক্সট ন্যাশনাল অ্যান্ড গ্লোবাল ডাইমেনশন' শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সিপিডির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রফেসর রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন স্বাগত বক্তব্য রাখেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত দুর্গা ভট্টরাই, পাকিস্তান স্টেট ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ইসরাত হুসাইন, শ্রীলংকা সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নর ড. নন্দলাল বীরাসিংহে বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় মেয়ে শিক্ষার্থীদের হার ৯৮% এ উন্নীত হয়েছে। সমাজের প্রতিটি সূচকে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা, আইসিটি ট্রেনিং ও ডিজিটাল সংযুক্তির মাধ্যমে হাইটেক পার্ক নির্মাণ ও তরুণদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সহজীকরণে কম্পিউটার ও বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করে আসছেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে এই অঞ্চলকে তথ্য প্রযুক্তির স্মার্ট হাব হিসেবে গঠন করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ এর পাশাপাশি স্মার্ট উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে হবে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য স্মার্ট ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তরুণ উদ্যোক্তারাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
এসআর/এসকেডি