নেপথ্যের অপচেষ্টাকারীদের ফুটেজ দেখে শনাক্ত করছে র্যাব

সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে বাইরে থেকে গার্মেন্টস খাতে সহিংসতার চেষ্টা হয়েছে। নেপথ্যে থেকে যারা কলকাঠি নাড়ছেন এবং সরাসরি সহিংসতা ও নাশকতাসহ অস্থিরতা তৈরির চেষ্টায় জড়িত তাদের শনাক্তে গোয়েন্দা তথ্যের পাশাপাশি ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করছে র্যাব।
গত কয়েকদিনে চলা অস্থিরতার মধ্যে জড়িত বেশ কয়েকজনকে আটকের পর গার্মেন্টস খাতে স্বস্তি ও শৃঙ্খলা ফিরছে দাবি করে র্যাব বলছে, গার্মেন্টস খাতে অস্থিতিশীলতা তৈরিতে যারা গুজব ছড়িয়েছেন কিংবা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নানামুখী তৎপরতায় রোববার সকাল থেকে দেশের কোনো গার্মেন্টসে নাশকতা, বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল আর মিডিয়া উইং ও অপারেশন্স উইং সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি গার্মেন্টস সেক্টরে চলমান সহিংসতা রোধে গত ৪ নভেম্বর র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাজধানীর মিরপুর ও সাভার, আশুলিয়া এবং গাজীপুরের কোনাবাড়ি, ভোগড়া, শফিপুর এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে গার্মেন্টস শ্রমিক, গার্মেন্টস মালিক এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে র্যাব ফোর্সেসের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মতবিনিময় করেন। এরপর আজ সকাল থেকে দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে।

র্যাব সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল মো. মাহাবুব আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরে সহিংসতা, নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা রোধে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল যারা পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে এবং বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে ধ্বংসের অপচেষ্টা চালাচ্ছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব তৎপর রয়েছে।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, র্যাবের পক্ষ থেকে যেসব গার্মেন্টস শিল্প এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা হয়েছে সেখানে মতবিনিময় করা হয়েছে। র্যাবের কঠোর অবস্থানের কথা কর্মরত শ্রমিকসহ দেশবাসীর সামনে তুলে ধরা হয়েছে। মতবিনিময়কালে গার্মেন্টস সেক্টরে চলমান সহিংসতা প্রতিরোধ ও শান্তিপ্রিয় পোশাক শ্রমিক এবং গার্মেন্টসসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাব ফোর্সেস কর্তৃক চলমান কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। ফলে আজ সকাল থেকে দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে। দেশের কোনো গার্মেন্টসে নাশকতা, বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতার ঘটনা পরিলক্ষিত হয়নি।
মো. মাহাবুব আলম বলেন, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে একটি স্বার্থান্বেষী মহল গার্মেন্টস খাতে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো হচ্ছিল। সাধারণ ও নিরীহ শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টির অপচেষ্টা থেকে বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে শ্রমিক নিহত, গুম ও অপহরণের মতো মিথ্যে তথ্য প্রচার করা হয়েছে। এসব মিথ্যা তথ্য প্রচারের মাধ্যমে নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নেড়ে গার্মেন্টস খাতে গত কয়েকদিনে সহিংসতা ও নাশকতার চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ও সংগঠিত নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ও নেপথ্যে থেকে যে বা যারা কলকাঠি নেড়েছেন তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
কর্নেল মাহবুব বলেন, আমরা গার্মেন্টস খাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে রয়েছি। কঠোরভাবে গোয়েন্দা ও সাইবার মনিটরিং করা হচ্ছে। পুনরায় যে বা যারা অপতৎপরতা, বিশৃঙ্খলা, নাশকতা ও সহিংসতা চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
জেইউ/এসকেডি