মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করবে

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, কক্সবাজারের মাতারবাড়ীর মেগা প্রকল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন মাত্রা সংযোজন করবে। এর মাধ্যমে ওই এলাকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) বাস্তবায়নাধীন মাতারবাড়ী ২x৬০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা-সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ম ইউনিট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ অপরিহার্য। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে বড় বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রয়োজন। একইসঙ্গে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো দরকার। নিঃসন্দেহে এটি একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ধারাবাহিকতা থাকা আবশ্যক।
আরও পড়ুন
দেশের বিদ্যুৎ খাতে জ্বালানি বহুমুখীকরণ এবং বিদ্যুৎ খাতে সরকারের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সর্বাধুনিক আল্ট্রা-সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিপিজিসিবিএল কর্তৃক কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গত ৪ জুন বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ম ইউনিটের এবং ২২ অক্টোবর ২য় ইউনিটের ইনিশিয়াল ফায়ারিং সম্পন্ন হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ম ইউনিট থেকে গত ২৯ জুলাই জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ম ইউনিট এবং জুলাই মাসে ২য় ইউনিটের বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
ওএফএ/এসএসএইচ