বিমান ভাড়া কমলে হজের প্যাকেজে সমন্বয় হবে : হাব

সরকারি ব্যবস্থাপনার মতো বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। প্রথম প্যাকেজের (সাধারণ) খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। দ্বিতীয় প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা।
২০২৩ সালের চেয়ে ২০২৪ সালের হজের সাধারণ প্যাকেজের খরচ কমেছে ৮৩ হাজার ২০০ টাকা। প্রতি রিয়াল ৩১ টাকা ধরে এ প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও সরকারি ব্যবস্থাপনার চেয়ে বেসরকারি প্রায় ১০ হাজার টাকা বেশি ধরা হয়েছে।
গত বছর সরকারি প্যাকেজের চেয়ে বেসরকারি প্যাকেজের খরচ ছিল কম, এবার বেশি কেন এর ব্যাখ্যায় হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় সরকারি স্টাফ ও অফিস ব্যবহার করায় এ জায়গা কোনো খরচ হয় না। কিন্তু বেসরকারি পর্যায়ে সব খরচ এজেন্সিকে বহন করতে হয়।
তিনি বলেন, গত এক দশক থেকে বিমানের ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়ে আসছি। এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিমান ভাড়া কমানোর আবেদন করেছি। যদিও এখনও বিমান ভাড়া চূড়ান্ত হয়নি। আমরা আশা করব, হাজীদের স্বার্থে বিমান ভাড়া কমানো হোক। ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা বিমান ভাড়া ধরে প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও বিমান মন্ত্রণালয় যদি ভাড়া কমায় তবে সেই টাকা পরবর্তীতে সমন্বয় করা হবে।
হাব সভাপতি বলেন, আমরা সব সময় হজ ফ্লাইটে সব এয়ারলাইন্সকে প্রতিযোগিতা করার দাবি জানিয়ে আসছি। যদি সবাইকে এখানে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ দেওয়া হয়, তবে বিমান ভাড়া অনেক কমে আসবে।
আরও পড়ুন
হাব সভাপতি বলেন, একটি স্বতন্ত্র কারিগরি কমিটির মাধ্যমে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া পুনঃনির্ধারণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে গত ৫ নভেম্বর আবেদন দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি প্রধানমন্ত্রী হজ যাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। বিমান ভাড়া কমানো হলে হজ প্যাকেজের মূল্য কমানো হবে।
তিনি আরও বলেন, হজযাত্রীদের সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন ঢাকায় নিশ্চিত করার জন্য সব হজ ফ্লাইট ডেডিকেটেড হতে হবে। কোনোভাবেই কোনো শিডিউল ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহন করা যাবে না।
হাব সভাপতি বলেন, একটি স্বতন্ত্র টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া পুনঃনির্ধারণের জন্য গত ৫ নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর আবেদন করেছি। আমরা প্রত্যাশা করছি, প্রধানমন্ত্রী হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী সর্বদাই হজযাত্রীদের কল্যাণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে ইতোমধ্যে সর্ব-মহলে প্রশংসিত হয়েছেন। বিমান ভাড়া কমানো হলে হজ প্যাকেজের মূল্যও কমানো হবে।
২০২৩ সালের হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭টাকা। ২০২৪ সালের বিমান ভাড়া নির্ধারণের করা ১,৯৪,৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়, যা গত বছরের তুলনায় ২ হাজার ৯৯৭ টাকা কম।
এ বছর শতভাগ হজযাত্রীদের (সিলেট ও চট্টগ্রাম বাদে) সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ‘মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ’ এর আওতায় হজযাত্রীদের কল্যাণে প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই সম্পন্ন করার জন্য ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট হওয়া বাধ্যতামূলক। হজযাত্রী পরিবহনে ডেডিকেটেড ফ্লাইটের হিসাব করেই সর্বোচ্চ মূল্যে বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে ডেডিকেটেড ফ্লাইটের ভাড়া নিলেও এয়ারলাইন্সগুলো শিডিউল ফ্লাইটেও হজযাত্রী পরিবহন করেছে। কিন্তু এ বছর হজযাত্রীদের প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন করতে হলে অবশ্যই সকল হজ ফ্লাইট ডেডিকেটেড হতে হবে। প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশনের জন্য ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট থাকা বাধ্যতামূলক। তাই আপনাদের মাধ্যমে আবারও হাবের পক্ষ থেকে জোরালো দাবি জানাচ্ছি, যেহেতু ডেডিকেটেড ফ্লাইটের ভাড়া পরিশোধ করা হচ্ছে, তাই হজযাত্রীদের সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন ঢাকায় নিশ্চিত করার জন্য সকল হজ ফ্লাইট ডেডিকেটেড হতে হবে। কোনোভাবেই শিডিউল ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহন করা যাবে না।
এনএম/এসকেডি