কাশ্মীরে নিহত তিন বাংলাদেশির মরদেহ ঢামেকে

ভারতের কাশ্মীরের শ্রীনগরে হাউজবোটে আগুন লেগে নিহত তিন বাংলাদেশির মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গে এসে পৌঁছেছে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে ভারতের দিল্লি থেকে ইন্ডিগো কার্গো বিমানে করে তাদের মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। পরে সন্ধ্যা ৬ টা ২০ মিনিটে তাদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢামেকে নিয়ে আসা হয়।

নিহতরা হলেন- অনিন্দ্য কৌশল নাথ ও ইমন দাশগুপ্ত (প্রকৌশলী) ও তাদের বন্ধু মো. মঈনুদ্দিন (ঠিকাদার)। তাদের ৩ জনের বাড়িই চট্টগ্রামে।
জানা যায়, অনিন্দ্য কৌশল নাথ রাঙ্গামাটিতে নির্বাহী প্রকৌশলী ও ইমন দাশগুপ্ত বিভাগীয় উপ-প্রকৌশলী হিসেবে চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিট ভবন নির্মাণের দায়িত্ব পালন করছেন। আর মঈনুদ্দিন এলজিইডি ও পিডব্লিউডির ঠিকাদার। তিনজনই ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ভারতের কাশ্মিরে একটি হাউজবোটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুই প্রকৌশলী ও এক ঠিকাদারের মরদেহ তিনটি কার্টনে ইন্ডিগো কার্গো বিমানে করে ভারতের দিল্লি থেকে দেশে আসে। পরে তিনটি কার্টুনের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ প্রোফাইলের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে। এই তিনজনের মধ্যে কোনটা কার মরদেহ সেটি জানা যায়নি। ডিএনএ প্রোফাইলের মাধ্যমে এই তিনজনের মরদেহ শনাক্ত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, পুড়ে যাওয়া মরদেহগুলো শনাক্ত করার মতো কোনো অবস্থা ছিল না। তারা কবে, কীভাবে, কি কারণে ভারতের কাশ্মিরে গিয়েছিলেন সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (১১ নভেম্বর) কাশ্মিরের শ্রীনগরে বিখ্যাত ডাল লেকের ৯ নম্বর ঘাটের কাছে পুড়ে যাওয়া হাউজবোটের ধ্বংসাবশেষ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। তারাসাফিনা নামে একটি হাউজবোটে অবস্থান করছিলেন তারা। তবে, পুড়ে যাওয়া মরদেহগুলো শনাক্ত করার মতো অবস্থায় নেই।
এসএএ/এমজে