নিষেধাজ্ঞাতেও যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়া যাচ্ছে সিটির বাস

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১২ এপ্রিল ২০২১, ০৭:৩২ পিএম


নিষেধাজ্ঞাতেও যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়া যাচ্ছে সিটির বাস

গাবতলীতে ঘরমুখী মানুষের ভিড়

করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে দেশে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এই বিধিনিষেধে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। আগামী ১৪ তারিখ থেকে সরকার আরেক দফা কঠোর বিধিনিষেধের ঘোষণা দিয়েছে, যা চলবে সাত দিন।

সরকারের এ নির্দেশনার পর থেকে সোমবার (১২ এপ্রিল) ঘরে ফেরা মানুষের ভিড় বেড়েছে রাজধানীর গাবতলীতে। নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সিটির বাস যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়া যাচ্ছে। এসব গাড়িগুলো জনপ্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে। 

এর বাইরেও দূরপাল্লার কয়েকটি পরিবহন গোপনে টিকিট বিক্রি করছে। দূরপাল্লার পরিবহনগুলো রাতে যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়বে বলে জানিয়েছে বাস কাউন্টারের লোকজন। এর বাইরেও গাবতলীতে বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার পরিবহনের যাত্রীদের ডাকতে দেখা গেছে কাউন্টার থেকে।

গাবতলী টার্মিনালের এ. কে ট্রাভেল পরিবহন কাউন্টারে গোপনে টিকিট বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ প্রতিবেদক পরিচয় গোপন করে কাউন্টারে দায়িত্বরতদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, যশোর যেতে এক হাজার টাকা ভাড়া লাগবে। যদি যান তাহলে এখনই টিকিট বুক দেন। আর মাত্র দুটি সিট আছে। 

dhakapost

রাস্তায় ঝামেলা হওয়ার বিষয়ে তারা বলেন, গতকাল রাত তিনটার সময় টার্মিনাল থেকে গাড়ি আমিনবাজার নিয়ে রেখেছি। যাত্রীদের এখান থেকে নিয়ে গাবতলী ব্রিজের ওইপাড় থেকে বাসে উঠাবো। আমিনবাজার থেকে যশোর যেতে কোনো ঝামেলা হবে না বলে জানান তারা।  

সরেজমিনে আরও দেখা গেছে, গাবতলী এক্সপ্রেস কোম্পানি লিমিটেড ও মৌমিতা পরিবহন অবাধে যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়া যাচ্ছে। বাসে গেলে জনপ্রতি ভাড়া ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় বেড়েছে। 

মো. নিজাম নামের এক যাত্রী ঢাকা পোস্টকে বলেন, কাজ না থাকায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। কোনো পরিবহন চলছে না। তাই প্রাইভেটকারে যাচ্ছি। এখান থেকে পাটুরিয়া যাব প্রাইভেটকারে। তারপর নদী পার হয়ে গাড়িতে ভেঙে ভেঙে যাব। 

মতিন নামের আরেক যাত্রী বলেন, কাজ বন্ধ, তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি। ঢাকায় থাকলেই খরচ হবে, যা বহন করার মতো পরিস্থিতি নেই। বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটালে মন ভালো লাগবে। লকডাউন (বিধিনিষেধ) শেষ হলে আবার ঢাকায় ফিরব। 

কবীর নামের একজন চাকুরিজীবী জানান, লকডাউন কতদিন থাকে, সেটা বলা যাচ্ছে না। যার ফলে বাড়ি চলে যাচ্ছি। তবে ভাড়া কয়েকগুণ বেশি দিয়ে যেতে হচ্ছে। 

এর আগে গত ৫ এপ্রিল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে প্রথম দফায় সাত দিনের বিধিনিষেধ শুরু হয়। মেয়াদ শেষের আগেই ১৪ তারিখ থেকে বিধিনিষেধের কথা বলা হয় এবং প্রথম দফার মেয়াদ আরও দুদিন বাড়ানো হয়। বিধিনিষেধে সব গণপরিবহন বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও পরে সিটিতে সময় বেঁধে তা চালুর নির্দেশনা আসে। তবে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন একেবারেই বন্ধ রাখার কথা বলা হয়।

 এসআর/আরএইচ

Link copied