প্রকল্পে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ পেলে মামলা

বিভিন্ন প্রকল্পে নিম্নমানের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অথবা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় অথবা ফৌজদারি মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
সোমবার (১২ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এলজিইডির মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের সঙ্গে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসহ বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ঠিকাদার যদি কাজে কোনো গাফিলতি করে তার বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প নিতে হবে। যত্রতত্র রাস্তা ব্রিজ নির্মাণ করা যাবে না। প্রয়োজনে হাইড্রোলজিক্যাল, মরফোলজিক্যাল স্ট্যাডির মাধ্যমে নেভিগেশন সুবিধা নিশ্চিত করে করতে হবে।’
করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্পপরিসরে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি এ সময় আহ্বান জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘এলজিইডি, ডিপিএইচই-সহ স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন সব প্রতিষ্ঠান দেশের সামগ্রিক উন্নতির চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যেহেতু নির্মাণ কাজ করা যায়, সে জন্য এটি অব্যাহত রাখতে হবে। এলজিইডি এ দেশের গ্রামীণ উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। এর সঙ্গে মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িয়ে রয়েছে। উন্নয়ন কাজ বন্ধ রাখা যাবে না।’
উন্নয়নের স্বার্থে যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয় এর সঠিক প্রাক্কলন করতে হবে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নির্দিষ্ট টাইম শিডিউলের মাধ্যমে টেন্ডার আহ্বান, ইভালুয়েশন করে কাজের নোটিফিকেশন দিতে হবে। এক্ষেত্রে অযথা সময়ক্ষেপণ করা যাবে না।’
এ সময় উন্নয়ন কাজ শুরু হওয়ার পর মনিটরিং জোরদার এবং কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প সময়মতো শেষ করতে সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে যে অপ্রত্যাশিত দুর্যোগ তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলা করেই আমাদের টিকে থাকতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হতে হলে সাড়ে ১২ হাজার ডলার মাথাপিছু আয় দরকার। সাড়ে ১২ হাজার ডলার মাথাপিছু আয় করতে হলে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি সব খাতে ব্যাপক উন্নয়ন দরকার।’
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ খানসহ জেলা ও উপজেলার প্রকৌশলীরা অংশ নেন।
এসএইচআর/এফআর