মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনে ৩৮ ফানুস, পূর্ব পরিকল্পনায় রক্ষা
ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরে ওড়ানো ফাসুন এবারও আটকে ছিল মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনে। তবে পূর্ব পরিকল্পনা থাকায় ইংরেজি বছরের প্রথম দিন মেট্রোরেল চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।
গতবছর ২৯ ডিসেম্বর প্রথমবার বাণিজ্যিকভাবে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়। তার ২ দিন পরেই ছিল 'থার্টি ফাস্ট নাইট'। সে রাতে ফানুস উড়িয়ে নতুন বছরের প্রথম প্রহর উদযাপন করে অনেকে। পরে তাদের উড়ানো ফাসুনের মধ্যে ১৫টি ফানুস মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনে আটকে যায়। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধারণা করতে না পারায় সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকে মেট্রোরেল চলাচল। তবে এবার ৩৮টি ফানুস আটকালেও সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচলে কোনো অসুবিধে হয়নি।
এবার মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনে ফানুস আটকে ছিলো কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পরিচালক (অপারেশন এন্ড মেইনটেনেন্স) নাসির উদ্দিন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের লোকজন রাত ৩টার পর থেকে পেট্রোলিং করেছে। পুরো পথকে ছয়টি সেকশনে ভাগ করে এই পেট্রোলিং করা হয়। এজন্য সকাল থেকে আমরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে যাত্রীসেবা দিতে পারছি।
তিনি বলেন, আমাদের এই প্ল্যানিংটা আগেই ছিল। রাত ৩টার দিকে কাজ শুরু করেছি এবং ভোর ৫টার দিকে শেষ করেছি। ৩৮টির মতো ফানুস তারে আটকে ছিল এবার।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর ইস্কাটনে ডিএমটিসিএলের সভা কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক বলেন, মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ এর উভয় পাশে ১ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারীদের থার্টি ফাস্ট নাইট এবং ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ঘুড়ি, ফানুসসহ যেকোনো বিনোদন সামগ্রী ওড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। এ বিষয়ে পুলিশ সহায়তা করবে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে।
এমএইচএন/এমএসএ