সাকরাইন উৎসবে এসে ঘুড়ি ওড়ালেন মেয়র তাপস

পৌষ মাসের শেষ দিন বা পৌষ সংক্রান্তি আজ। পুরান ঢাকায় দিনভর উদযাপন করা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসব। প্রতি বছর পৌষ মাসের শেষ ও মাঘ মাসের শুরুতে উদযাপন করা হয় এই বর্ণিল উৎসব। এই সাকরাইন উৎসবে এসে ঘুড়ি ওড়ালেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে পুরান ঢাকার ধুপখোলা মাঠে ডিএসসিসি আয়োজিত সাকরাইন উৎসবে যোগ দিয়ে ঘুড়ি ওড়ান তিনি। ‘এসো উড়াই ঘুড়ি, ঐতিহ্য লালন করি’— স্লোগানে এবার সাকরাইন উৎসব উদযাপিত হচ্ছে।
এর আগে, শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আজ পুরান ঢাকার আকাশ ঘুড়িতে ছেয়ে গেছে। ঐতিহ্যের উৎসব আমরা পালন করতে পারছি। শিশু, কিশোর, যুবক, বয়স্ক সবাই ঘুড়ি ওড়াচ্ছেন। ঐতিহ্যগুলো আমরা ঢাকাবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই... যেন আমাদের নতুন প্রজন্ম ঐতিহ্যকে ধারণ করতে পারে।

‘পৌষ সংক্রান্তি’ হলেও পুরান ঢাকায় এটি সাকরাইন নামে পরিচিত। পৌষ মাসের ৩০ তারিখ সাকরাইন উদযাপিত হলেও এক সপ্তাহ আগে থেকেই পুরান ঢাকা এলাকায় শুরু হয়েছিল ঘুড়ি তৈরি, ক্রয়-বিক্রি, সুতায় মাঞ্জা দেওয়ার কাজ। এছাড়া, উৎসব উপলক্ষ্যে বাড়িতেও আসেন অতিথিরা।
বিশেষ এই দিনটির রাতে পুরান ঢাকার বাসাবাড়ির ছাদে আয়োজিত হয় নাচ-গান, ডিজে পার্টি ও পিঠা উৎসব। আরও থাকে আতশবাজি ফোটানো, আগুন নিয়ে খেলা ও বিভিন্ন খাবারের আয়োজন। বিভিন্ন ধর্ম ও শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন এই উৎসবে।
এ দিন পুরান ঢাকার প্রতিটি বাড়িতে বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়। এছাড়া, আত্মীয়স্বজনদের নিমন্ত্রণ করা এবং বাসাবাড়িতে পিঠাপুলি পাঠানো হয়। পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের সেই সাকরাইন উৎসবে মেতে ওঠার দিন আজ। এ উৎসবের মূল আকর্ষণ ঘুড়ি উড়ানো। তাই এটি ঘুড়ি উৎসব নামেও পরিচিত।
কর্পোরেশনের মুখপাত্র আবু নাছের জানান, ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডে একযোগে সাকরাইন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। সেজন্য কাউন্সিলরদের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ১৫ হাজার ঘুড়ি বিতরণ করা হয়েছে। ২০২১ সাল থেকে ডিএসসিসি সাকরাইন উৎসবের আয়োজন করে আসছে। করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০২২ সালে আয়োজন করা সম্ভব না হলেও ২০২৩ সালে দ্বিতীয়বাবের মতো কর্পোরেশনের উদ্যোগে সাকরাইন উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এএসএস/কেএ