বিদ্যুতের বাড়তি চাহিদা মেটাতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এবার রমজান এবং গ্রীষ্মকালে আগের চেয়েও বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে। এই চাহিদা মোকাবিলায় সরকার এখনই উদ্যোগ নিচ্ছে। আগামী গ্রীষ্মের চাহিদা সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াট নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে 'বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতি, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ' নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি৷
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের বিষয়ে আগামীতে আমাদের সামনে দুটি বড় চ্যালেঞ্জ৷ একটি হচ্ছে সামনে সেচ মৌসুম আসছে৷ আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে রোজার মাস৷ এ তাপমাত্রা হয়ত এবার থাকবে না৷ এবার গরম আরও বাড়তে পারে৷ আবহাওয়ার যে অবস্থা তাতে কোনকিছুই আসলে প্রেডিক্ট করা যাচ্ছে না৷ এবার আমাদের বিদ্যুতের চাহিদা খুব সম্ভবত সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াটে চলে যাবে৷ এ কারণেই আমরা সময়মত গ্যাস, কয়লা যোগান দিতে চেষ্টা করছি৷ আমরা মনে করছি সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো সেই অবস্থান আমরা তৈরি করেছি৷
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, আমাদের তৃতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আগামী বছরটাকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন রাখা৷ তবে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ রাখতে সাপ্লাই চেইনটাও গুরুত্বপূর্ণ৷ বিশেষ করে মিডল ইস্টে যেভাবে উত্তেজনা বেড়ে চলছে। সেটি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জানুয়ারির শেষ দিক থেকে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে থাকে। জুন-জুলাই মাস পর্যন্ত এই চাহিদা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। সংকট সামাল দিতে সরকার আগে-ভাগে এলএনজি টার্মিনাল সংস্কার করতে পাঠিয়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, আগামী তিন থেকে চারমাসের মধ্যে আমরা তেলের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে যাব কি পরিমাণ তেল আমরা পেলাম৷ আমি মনে করি বছরের শুরুতে সবার জন্য একটা ভালো সু-খবর হবে৷ আমাদের প্রায়োরিটির তালিকায় বিপিসি থাকায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বন্দর সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে৷
এমএম/এসকেডি