বিটিআরসির দেনা পরিশোধের বিষয়ে যা বলছে আমরা টেকনোলজিস

২২ কোটি ৬৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকার রাজস্ব পরিশোধ না করায় ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইজিজি) কোম্পানি আমরা টেকনোলজিসের ৮০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ ব্লক করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গত সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এমন নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল), বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডসহ (বিটিসিএল) বেশ কয়েকটি সংস্থাকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত বকেয়া পরিশোধের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি আমরা টেকনোলজিস। এই বিপুল পরিমাণ দেনা কীভাবে পরিশোধ করা যায় সেটিই এখনো পর্যালোচনা করে দেখছে কোম্পানিটি। তবে বিটিআরসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১০ কোটি টাকার ডাউন পেমেন্ট দিয়ে এই ব্লক প্রত্যাহারের সুযোগ রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার সিনহা বিন হুমায়ুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিটিআরসি যে নির্দেশনা দিয়েছে আমরা তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করি। বিষয়টি নিয়ে এখন আমরা সমাধানে পৌঁছাতে পারিনি। এই বিপুল পরিমাণ দেনা কীভাবে পরিশোধ করা যায় সেটি চিন্তাভাবনা করছি। বিটিআরসি তাদের যে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সে অনুযায়ী আমরা কাজ করার চিন্তা করছি।
এত বিপুল পরিমাণ বকেয়া হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে করোনা পরবর্তী ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। এছাড়া আরো কিছু সমস্যার কারণে কারণে এমনটি হয়েছে।
ব্লক করার পর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, আমরা যদি পরিপূর্ণ ব্যান্ডউইথ সার্ভিস প্রোভাইড করতে না পারি তাহলে সাধারণত গ্রাহকরা অন্য সার্ভিস প্রোভাইডার (সেবা সরবরাহকারী) খুঁজে নেন। এর জন্য গ্রাহকরা অপেক্ষা করেন না। তাছাড়া অধিকাংশ গ্রাহকই একাধিক সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছ থেকে সেবা নিয়ে থাকেন। আমাদের কাছে যথাযথ সার্ভিস না পেলে অন্য প্রোভাইডারের কাছে তারা চলে যাবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে দেনা পরিশোধের চেষ্টা করছি।
অপরদিকে আমরা টেকনোলজিসকে পাঠানো চিঠিতে বিটিআরসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১০ কোটি টাকা ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ব্লক প্রত্যাহার করা যাবে। আর বাকি টাকা পরিশোধ করতে হবে কিস্তির মাধ্যমে।
একইসঙ্গে এসব শর্ত পূরণ করতে না পারলে শতভাগ ব্যান্ডউইথ ব্লক করে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, এর আগেও পাওনা পরিশোধ করতে না পারায় আমরা টেকনোলজিসের ৫০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ ব্লক করেছিল বিটিআরসি।
প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে ৩৪টি লাইসেন্সধারী ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইজিজি) কোম্পানি রয়েছে। এসব আইজিজি প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেটের আন্তর্জাতিক ট্রানজিট প্রোভাইডার (সরবরাহকারী) হিসেবে কাজ করে। আর তাদের কাছ থেকেই দেশের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) এবং মোবাইল অপারেটররা সেবা নিয়ে থাকেন।
আরএইচটি/জেডএস