মা-নবজাতকের মৃত্যু : দায় নিরূপণে মানবাধিকার কমিশনের কমিটি গঠন

চিকিৎসকের পরামর্শে গুরুতর অবস্থায় প্রসূতি নারীকে বরগুনার বামনা থেকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে ও তার নবজাতক সন্তানকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় দায়ীদের শনাক্ত করে শাস্তি ও সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্তৃপক্ষের অবহেলার দায় নিরূপণে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মানবাধিকার কমিশন। কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গত ১৭ জানুয়ারি ‘প্রসূতির পেট ছিল কাটা, মা-সন্তান দু’জনই মৃত’ শিরোনামে দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পর মানবাধিকার কমিশন বলছে, এমন মৃত্যু অত্যন্ত মর্মান্তিক, অমানবিক ও মানব অধিকারের চরম লঙ্ঘন।
মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক ফারহানা সাঈদ সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রসব ব্যথায় কাতর একজন প্রসূতিকে অস্ত্রোপচার করে জীবিত নবজাতক সন্তানকে ফের মায়ের পেটে ঢুকিয়ে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে নবজাতক ও মায়ের মৃত্যু হয়। এ ঘটনাটি অত্যন্ত অমানবিক।
ওই ঘটনায় অবৈধ সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা যেমন তাদের দায় এড়াতে পারেন না, একইভাবে যথাযথ মনিটরিংয়ের অভাবে কাগজপত্রবিহীন এই প্রতিষ্ঠানটি অপচিকিৎসার মাধ্যমে মানুষকে হয়রানি করার কারণে মনিটরিং কর্তৃপক্ষও তাদের দায় এড়াতে পারে না।
ঘটনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করতে মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) ও জেলা জজ মো. আশরাফুল আলমকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জেইউ/এমএ