ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো আমাদের পাশে আছে : পলক

প্রযুক্তি ও জ্ঞানসহ সার্বিক সহায়তা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো বাংলাদেশের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আবাসিক প্রতিনিধি চার্লস হুইটলির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ইইউ প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি ও জ্ঞানসহ সার্বিক সহায়তা নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এখনো আছে। নতুন সরকারের নতুন যে রূপকল্প, নতুনভাবে আমরা যে কাজ করছি, সেখানে স্মার্ট সরকার প্রতিষ্ঠার জায়গায় আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তা পাব। তারা এখানে বিনিয়োগ করবেন, তাদের প্রযুক্তি ও জ্ঞান সহায়তাও তারা দেবেন।
আরও পড়ুন
‘বিভিন্ন নীতিগত সহায়তায়ও তারা আমাদের পাশে থাকবেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একসঙ্গে কাজ করতে আমরা তিনটি প্রকল্প প্রস্তাব চার্লস হুইটলির কাছে দিয়েছি,’ বলেন পলক।
তিন প্রকল্প প্রসঙ্গে পলক বলেন, ‘আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চ্যাম্পিয়ন, আপনারা জানেন। সেখানে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক (ইআইবি) ৫০০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। সঙ্গে আরও এক বিলিয়ন ডলার তারা আগামীতে দিতে প্রস্তুত আছে। সেখানে আমরা ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি প্রকল্পের প্রস্তাব রেখেছি। আর্থিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে এগোব।’
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দ্বীপ, রিভার আইল্যান্ড, বিল ও হাওড় অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড সংযোগসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির জন্য আমরা একটি ডিজিটাল দ্বীপ, হাওড় ও বিল প্রকল্প প্রস্তাব দিয়েছি। ইইউ রাষ্ট্রদূত আমাদের পক্ষ হয়ে যেন একটা অর্থায়নের ব্যবস্থা করে সেটাই আশা, এটাও প্রায় ১০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব।
দেশের ৫০০ পোস্ট অফিসে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, জেলা ও উপজেলা সদরে আমাদের ৫০০ পোস্ট অফিস আছে, যেগুলো খুবই চমৎকার অবস্থানে। সেখানে সরকারের পোস্ট অফিসের সেবার পাশাপাশি আমরা স্মার্ট পয়েন্টস স্থাপন করব। সরকারি ও বেসরকারি সেবাদানকারী হিসেবে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট করতে চাই। ৫০০টি পয়েন্টে এই সেবা দেওয়া হবে। যেটা মাত্র ৪৯ কোটি টাকার প্রকল্প।
জন্ম নিবন্ধনে সহায়তা করবে আইসিটি মন্ত্রণালয়। জন্ম নিবন্ধনের সার্ভার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জটিলতা চলছে। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে কোনো সমাধান আসছে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ সংক্রান্ত সব প্রস্তাব ও পরামর্শ আমরা দিয়ে এসেছি। এখন যেহেতু নতুন করে সরকার গঠন করা হয়েছে, আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সঙ্গে বসব। আমাদের প্রস্তাব ও পরামর্শের ফলোআপ করে আবার চেষ্টা করব।’
‘একটি হচ্ছে, দ্রুত সেবা দেওয়া, আরেকটি হচ্ছে তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দুটোরই ব্যাঘাত ঘটেছিল। দ্রুত বিষয়টি নিয়ে বসব,’ যোগ করেন তিনি।
কবে নাগাদ এ সমস্যার সমাধান হবে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বসে সাতদিন পর আপনাদের এ বিষয়ে জানাব।
এমএম/এমজে