বিআরটিসি কর্মীদের দেওয়া হলো ডিজিটাল পরিচয়পত্র

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সারা দেশে যাত্রীবাহী গণপরিবহন বন্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এই বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি সেবার জন্য চিকিৎসক ও ব্যাংক কর্মচারীদের কর্মস্থলে নিয়ে যেতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাসগুলো চলাচল করছে। ঢাকায় বিআরটিসির ৫০টি বাস চলাচল করছে।
সড়কে চলাচলে পুলিশের কড়াকড়ি থেকে ছাড় পেতে বিআরটিসির বাসচালক ও কর্মচারীরা ডিজিটাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করছেন। রাস্তায় পুলিশের কাছে এই ডিজিটাল পরিচয়পত্র দেখিয়ে তারা চলাচল করছেন। সম্প্রতি এলিফ্যান্ট রোডে চিকিৎসক-পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্যে বাকবিতণ্ডার জেরে বিআরটিসির কর্মচারীদের মধ্যে পরিচয়পত্র ব্যবহার বেড়ে গেছে।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বিআরটিসির দোতলা বাসের চালক মনিউদ্দিন বলেন, বিধিনিষেধের কারণে সাধারণ বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমরা বিভিন্ন চেকপোস্টে ডিজিটাল পরিচয়পত্র দেখাই। কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

গত ১৩ এপ্রিল বিআরটিসির সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নতুন ডিজিটাল পরিচয়পত্র ব্যবহার উদ্বোধন করেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, নতুন ডিজিটাল পরিচয়পত্র মেশিন রিডেবল। এর মাধ্যমে ডিজিটাল হাজিরা নিশ্চিত করা সম্ভব। কেউ নকল পরিচয়পত্র ব্যবহার করতে পারবে না।
বিআরটিসির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ২২৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। বিআরটিসিতে কর্মরত সারাদেশের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এই ডিজিটাল পরিচয়পত্র দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান আরও জানান, ঢাকায় বিআরটিসির ৫০টি বাস চলাচল করছে। এসব বাসের বেশির ভাগ দোতলা। এক তলা বাসও আছে। এসব বাসে স্বাস্থ্যকর্মী ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের পরিবহন করা হচ্ছে। বাসের চালক, তাদের সহকারীরাও ডিজিটাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করছেন।
পিএসডি/ওএফ