বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ থেকে ভিসার আবেদনের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে
২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ভিসার আবেদনের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বাড়ার তথ্য দিয়েছে ভিসা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ভিএফএস গ্লোবাল।
সোমবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় ভিএফএস গ্লোবাল।
ব্রিফিংয়ে ভিএফএস গ্লোবালের বাংলাদেশ প্রধান শান্তনু ভট্টাচার্য বলেন, ২০২৩ সালে ভিসা আবেদনের এই পরিমাণ ২০১৯ সালে প্রাক-মহামারীর সময়ের তুলনায় ২৩৩ শতাংশ বেশি।
শান্তনু ভট্টাচার্য বলেন, ২০২২ সালে আমরা বাংলাদেশ এবং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া থেকে অনন্য চাহিদা লক্ষ্য করেছি, যার ফলে ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থিতিশীল ভিসা আবেদনের পাশাপাশি একটি দুর্দান্ত ভ্রমণ মৌসুম তৈরি হয়েছিল।
ভিসা আবেদনকারীদের সতর্ক করে দিয়ে শান্তনু ভট্টাচার্য বলেন, ভিএফএস গ্লোবালের নাম ব্যবহার করা ভুয়া ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া পেজগুলো থেকে এবং যারা অর্থের বিনিময়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বিক্রি করে, তাদের থেকে সাবধান হতে হবে।
তিনি বলেন, অ্যাপয়েন্টমেন্টগুলো ভিএফএস গ্লোবালের ওয়েবসাইটে বিনা খরচে প্রদান করা হয় এবং আগে আবেদন করার ভিত্তিতে সেবা প্রদান করা হয়। একটি দায়িত্বশীল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা এই সমস্যাটি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে থাকব এবং আমরা আবেদনকারীদের অনুরোধ জানাচ্ছি তারা যেন তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা আগে থেকেই করেন।
শান্তনু ভট্টাচার্য জানান, ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটে ভিসা আবেদন কেন্দ্রের মাধ্যমে বাংলাদেশে ১৬টি দেশের ভিসা প্রসেসিংয়ের কাজ করছে তারা।
বেশিরভাগ দেশ ভ্রমণের তারিখের ৯০ দিন আগে পর্যন্ত ভিসার আবেদন গ্রহণ করা হয় বলে জানান শান্তনু ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, সংশোধিত শেনজেন ভিসা কোড অনুসারে, ভ্রমণের তারিখের ছয় মাস আগে পর্যন্ত শেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করা যায়।
কানাডার ভিসা যুক্ত করার জন্য পাসপোর্ট জমা দিতে দীর্ঘ অপেক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দূতাবাস থেকে আমাদেরকে যে পরিমাণ অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিতে বলেন, আমরা সেটাই দিচ্ছি।
এনআই/এমজে