পুনর্বাসনের দাবিতে চট্টগ্রামে মোড়ে মোড়ে হকারদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রাম নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করছেন উচ্ছেদ হওয়া হকারেরা। একাধিক সংগঠনের ব্যানারে সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে নিজেদের পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছেন তারা।
সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল তিনটা থেকে নিউমার্কেট এলাকার সিটি কর্পোরেশন মিউনিসিপ্যাল স্কুল, দারুল ফজল মার্কেট, বিপণী বিতান মোড় ও বটতলী রেল স্টেশনের সামনে অবস্থান করতে দেখা গেছে হকারদের।
এর আগে, সকালে ফুটপাত থেকে হকারদের উচ্ছেদ করতে মানববন্ধন করে রিয়াজুদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতি। একই এলাকায় ব্যবসায়ী ও হকারদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
দারুল ফজল মার্কেটের সামনে চট্টগ্রাম হকার্স লিগ ব্যানারে অবস্থান নিয়েছেন অন্তত ৫০ জন হকার। এর একটু দূরে মিউনিসিপ্যাল স্কুলের চট্ট মেট্রোপলিটন হকার্স সমিতি, বিপণি বিতান মোড়ে চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার সমিতি ও রেল স্টেশনের সামনে চট্টগ্রাম সর্বস্তরের হকার্স সমাজ ও চট্টগ্রাম সম্মিলিত হকার্স ফেডারেশন ব্যানারে অবস্থান নিতে দেখা গেছে হকারদের। এসব স্থানে অবস্থান নিয়ে দাবি মেনে নিতে মিছিল করছেন হকাররা। এসব জায়গায় পুলিশকেও সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম হকার্স লীগের সভাপতি প্রবীন কুমার ঘোষ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ভাতের জন্য রাস্তায় নেমেছি। আমরা চোর, ডাকাত বা ছিনতাইকারী নই। আমরা স্বল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসা করি। আমাদের দাবি একটা, আমাদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে।
বিপণী বিতান মোড়ে অবস্থান নেওয়া চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার্স সমিতির সভাপতি নুরুল আলম লেদু ঢাকা পোস্টকে বলেন, বণিক সমিতি বলছে, তাদের ২৭০টি মার্কেট আছে। হকারদের দরকার নেই। আমরা না থাকলে তো তারা মানুষের গলা কাটতে পারবে। সেজন্য আমাদের তারা উচ্ছেদ করতে চায়। তাদের কর্মসূচি মানুষ প্রত্যাখান করেছে। সেই কারণে ২০০ মানুষও তাদের সঙ্গে নেই।
তিনি বলেন, রমজানের আগে যেন আমাদেরকে বসার সুযোগ দেওয়া হয়, মেয়রের কাছে সেই দাবি জানাই।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবায়েদুল হক বলেন, আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদে পুলিশসহ অভিযানে নামে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেন হকাররা। একপর্যায়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন তারা। এ সময় সিটি কর্পোরেশনের চারটি গাড়ি ভাঙচুর করেন হকাররা। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ আহত হন অন্তত ১৫ জন। পরে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এক হাজার ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়।
এমআর/কেএ