বিধিনিষেধে ফাঁকা সড়কে সিএনজির দাপট

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। নির্দেশনা অনুযায়ী বন্ধ আছে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই যাত্রী পরিবহন করছেন সিএনজি চালকরা।
বিধিনিষেধের প্রথম দিকে সব বন্ধ থাকলেও রাজধানীর সড়কজুড়ে বেড়েছে ভাড়ায় চালিত সিএনজি অটোরিকশা। করোনাভাইরাস সংক্রমণে যাত্রীবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অবাধে তারা সড়কে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছেন।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকাল থেকে বিমানবন্দর, উত্তরাসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে, অধিকাংশ সিএনজি চালকরা বিভিন্ন মোড়ে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছেন। যাত্রী পরিবহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।
উত্তরায় সকাল থেকে রিকশা চালাচ্ছেন ফাতে আলী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই সড়কে সিএনজি বেশি দেখা যাচ্ছে। এই সুযোগে অনেকেই সিএনজি নামিয়েছেন। তারা লোকাল যাত্রীই বেশি তুলছেন।
উত্তরা রাজলক্ষী মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক সদস্য মনির জানান, প্রয়োজনে মেটাতে অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন। তাদের এখন একমাত্র বাহন সিএনজি। এ সুযোগে সিএনজির চালকরাও সকাল থেকেই যাত্রী বহন করছেন। কিন্তু বিধিনিষেধের শুরুতে এতো বেশি সিএনজি দেখা যায়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকার মধ্যেও সড়কে মানুষের যাতায়াত বেড়েছে। মানুষ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলে সিএনজি চালকেরাও এসে জিজ্ঞেসা করছেন কোথায় যাবেন।
কথা হয় সিএনজি চালক জহুরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে প্রায় এক থেকে দুই হাজার সিএনজি ঢাকার সড়কে বেড়েছে। আগে ২৩ হাজারের মতো সিএনজি ছিলো। এখন তা প্রায় ২৫ হাজারের মতো হয়েছে।
এদিকে বাইরের সিএনজি রাজধানীতে প্রবেশ করছে বলেই সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে জহুরুল ইসলাম বলেন, খুব যে বেশি ভাড়া হচ্ছে না তা নয়। আগের মতোই যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে। কেউ রিজার্ভ ভাড়ায় চালাচ্ছেন কেউ বা লোকাল যাত্রী তুলছেন।
ফাঁকা সড়কে দ্রুত গতিতে ছুটছে ব্যক্তিগত গাড়িগুলো। মাঝে দুই-একটি রিকশার উপস্থিতিও দেখা মেলে। এছাড়াও জরুরি সেবায় মালবাহী পরিবহনও চলাচল করছে সড়কে।
একে/এমএইচএস