টিভি সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো কোয়াব

সমস্যা সমাধানে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতের আশ্বাসে ৪ ঘণ্টা টেলিভিশন সম্প্রচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)।
সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির সভাপতি এ.বি.এম. সাইফুল হোসেন।
তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসা আজ হুমকির মুখে। তাছাড়া কেবল টিভি ব্যবসার নানাবিধ সমস্যা সমাধানের বিষয়ে ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ না আসার কারণে
আজ (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে প্রতীকী ধর্মঘট হিসেবে ক্যাবল টিভি সেবা বন্ধ রাখার কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত গত ৩ মার্চ ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সাধারণ সভায় সবার সম্মতিতে নেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, গতকাল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত আমাদের সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার জন্য। সেজন্য তার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে এই ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি স্থগিত করেছি।
ক্যাবল অপারেটরদের এই সংগঠনটির দাবিগুলো হলো-
১. ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা আইপিভিত্তিক ভিডিও প্রোগ্রাম, অনলাইন টিভি প্ল্যাটফর্ম এ এপটিপি, এনআইক্স, বিডিআইএক্সসহ অন্যান্য সার্ভারের মাধ্যমে ক্যাবল টিভির দেশি-বিদেশি পে-চ্যানেল প্রচার করে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এগুলো অতিদ্রুত বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। ক্যাবল অপারেটররা বৈধভাবে ইন্টারনেট ব্যবসা পরিচালনায় বাধা দূর করতে কালো আইন বাতিল করতে হবে।
২. ওটিপি, আইপি টিভি প্লাটফর্মে লিনিয়ার টিভি চ্যানেল প্রচার বন্ধ করাসহ যেন বিনামূল্যে প্রচারিত না হয় সে বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
৩. নীতিমালা ও বিধিমালার আলোকে অতি দ্রুততার সঙ্গে কেবল টিভি ডিজিটালাইজেশন বাস্তবায়নে যথাযথ নিতে হবে।
৪. ক্যাবল টিভি ব্যবসার শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পূর্বের নিয়মে ক্যাবল টিভি খাতে বিবিধ অভিযোগ ও অনিয়ম দ্রুত সমাধান করার জন্য এবং এই খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আহরণে বাংলাদেশ টেলিভিশনকে এককভাবে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
অপরদিকে এই মুহূর্তে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়া ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব কি না জানতে চাইলে কোয়াব সভাপতি সাইফুল বলেন, অবশ্যই এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা যারা রয়েছেন তাদের আন্তরিকতা থাকলেই এটি সম্ভব হয়ে উঠবে।
অবশ্য এজন্য স্পষ্ট নীতিমালা এবং যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরএইচটি/এমএ