জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পিকেএসএফের সঙ্গে ১৮ সংস্থার চুক্তি

দেশের বরেন্দ্র অঞ্চলের খরা পীড়িত জনগোষ্ঠীর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াতে ১৮টি সহযোগী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।

বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে আগারগাঁওয়ের পিকেএসএফ ভবনে ‘এক্সটেনডেড কমিউনিটি ক্লাইমেট চেঞ্জ-ড্রট (ইসিসিসিপি-ড্রট)’ প্রকল্পের সঙ্গে ‘প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার (আইই) সঙ্গে এ চুক্তি সই হয়। এ সময় পিকেএসএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার ও ১৮ সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাগত বক্তব্যে পিকেএসএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে রাব্বি ছাদেক আহমাদ বলেন, এক্সটেনডেড কমিউনিটি ক্লাইমেট চেঞ্জ-ড্রট প্রকল্পটি বরেন্দ্র এলাকার নওগাঁ, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি জানান, প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বরেন্দ্র অঞ্চলের খরাপ্রবণ জনগোষ্ঠীর জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় সহনশীলতা বাড়ানো। প্রকল্পে প্রস্তাবিত প্রধান কাজগুলো হলো, বরেন্দ্র উন্নয়নমুখী কর্তৃপক্ষের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়ানো ও তাদের দৈনন্দিন কাজে জলবায়ু পরিবর্তনকে সমন্বিত করা, ‘ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর ম্যানেজ অ্যাকুইফার রিচার্জ সিস্টেম’ প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করা; পুকুর পুনর্খনন, ঘাল/খাড়ি পুনর্খনন এবং পুকুরভিত্তিক ভূ-গর্ভস্থ পানি পুনর্ভরন করা। এছাড়া, খরা অভিযোজিত ফসল বিন্যাস ও ফলজ-বনজ বৃক্ষরোপণ করা হবে প্রকল্পের আওতায়।

পিকেএসএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার জানান, যথাযথ কাজেই প্রকল্পের অর্থ ব্যয়ের বিষয়ে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। সেই সঙ্গে উপকারভোগী সাধারণ জনগণকে নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করতে হবে। বরেন্দ্র অঞ্চলে প্রকল্প বাস্তবায়ন এলাকায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীও রয়েছে, তারাও যেন গুরুত্বের সঙ্গে উপকারভোগী হতে পারে, সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে।

পিকেএসএফের নানা ধরনের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রতিটি পয়সার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব দিতে হবে। চুক্তির নির্ধারিত কাজের মধ্যে থেকে অর্থ ব্যয় করতে হবে এবং সাধারণের উপকারে আসতে হবে। এক্ষেত্রে সমন্বিতভাবে প্রতিটি কাজ করতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় প্রকল্প বাস্তবায়নে পিকেএসএফকে অর্থায়ন করছে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ)। জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জের আওতায় জিসিএফ গঠিত হয়। গত বছর জুলাইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচনে জিসিএফের ৩৬তম পর্ষদ সভায় ‘এক্সটেনডেড কমিউনিটি ক্লাইমেট চেঞ্জ-ড্রট প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়।

এসআর/কেএ