মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সম্ভাবনা দেখছেন কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশের মানুষের জন্য পুষ্টিসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে সচেষ্ট রয়েছে। এটি বর্তমান সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পুষ্টিসম্মত খাবার নিশ্চিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস-২০২১ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি পরিষদ আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে গত ১০ বছরে যেসব প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে, উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে ও সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে, তার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে পারলে, দেশ যেমন দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে; তেমনি আগামী ৩-৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ মৎস্য, হাঁস-মুরগি, দুধ, ডিম ও মাংস উৎপাদনে উদ্বৃত্ত থাকবে।
ভেটেরিনিয়ানদের উদ্দেশ্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে এ খাতকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। সবার জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ ও নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে হবে।
ড. রাজ্জাক আরও বলেন, পুষ্টিসম্মত খাবারের নিশ্চয়তার জন্য মানুষের আয় বাড়াতে হবে এবং কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করতে হবে। নইলে পর্যাপ্ত খাবার উৎপাদন করলেও মানুষ তা কিনতে ও ভোগ করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, দারিদ্র্যবিমোচনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে কৃষি। আমরা বিভিন্ন প্রচলিত ও অপ্রচলিত ফসল চাষের কথা বলছি। যার জমি নেই, সে কীভাবে করবে? তাদের দারিদ্র্য কীভাবে কমবে? এছাড়া সরকার আগামীতে দারিদ্র্য ১২ শতাংশে এবং অতিদরিদ্র ৫ ভাগে নামিয়ে আনতে নিরলস কাজ করছে। আমি মনে করি, এসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে পারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টর।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। ‘ভেটেরিনিয়ান রেসপনস টু দ্য কভিড-১৯ ক্রাইসিস’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. এ এস মাহফুজুল বারী।
অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বাকৃবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মতিয়ার রহমান হাওলাদার, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রহমান খান, বাকৃবি বাউরেসের পরিচালক প্রফেসর ড. আবু হাদি নূর আলী খান, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান ও ডা. মো. আওলাদ হোসেন প্রমুখ।
এসএইচআর/জেডএস